বিশ্বকাপে জিদানদের বিদায়ের পথ দেখানো ফুটবলারের মৃত্যু

২০০২ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোলের পর পাপা বুবা দিওপ
ছবি: টুইটার

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে ২০০২ বিশ্বকাপে পা রেখেছিল ফ্রান্স জাতীয় দল। দলে জিনেদিন জিদান, থিয়েরি অঁরি, প্যাট্রিক ভিয়েরা, লিলিয়ান থুরামের মতো খেলোয়াড়েরা।

কিন্তু সেই ফ্রান্স বিদায় নিয়েছিল গ্রুপপর্ব থেকে, কোনো গোল না করেই! বিশ্বকাপের ইতিহাসে অবিশ্বাস্য ঘটনাগুলোর একটি। আরও অবিশ্বাস্য হলো, নবাগত সেনেগালের কাছে হেরেছিল নিজেদের প্রথম ম্যাচ।

সেই ম্যাচে সেনেগালের হয়ে জয়সূচক গোলটি পাপা বুবা দিওপের। দীর্ঘদিন রোগে ভোগার পর মারা গেছেন ৪২ বছর বয়সী সাবেক এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। কাল খবরটি নিশ্চিত করেছে সেনেগাল ফুটবল ফেডারেশন ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

সেনেগালের সেবারই বিশ্বকাপে অভিষেক। সিউলে ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলের জয়ে গোলটি করেছিলেন পাপা বুবা দিওপ। পরে আরও এক ম্যাচ হেরে এবং কোনো জয় ছাড়াই বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় ফ্রান্স।

বিশ্লেষকদের মতে, পাপা বুবা দিওপের ওই গোলটাই ফ্রান্সের বিদায়ের রাস্তা করে দিয়েছিল। সে ম্যাচে ফ্রান্সের হার বিশ্বকাপের ইতিহাসেই অবিশ্বাস্য ঘটনাগুলোর একটি। গ্রুপপর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে ৩-৩ গোলের ড্রয়েও জোড়া গোল করেছিলেন পাপা বুবা দিওপ।

বিশ্বকাপেই অভিষেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আলোড়ন তুলেছিল এল হাজি দিউফ ও পাপা বুবা দিওপদের সেনেগাল। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা ‘গোল্ডেন গোল’ নিয়মে হেরে যায় তুরস্কের কাছে।

২০০২ আফ্রিকান নেশনস কাপের ফাইনালে ক্যামেরুনের কাছে হেরে যাওয়া সেনেগাল দলেও ছিলেন পাপা। লেঁস, ফুলহাম, ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডে খেলা সাবেক এ ফুটবলার ২০০৮ সালে এফএ কাপ জেতেন পোর্টসমাউথের হয়ে।

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে পাপার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন সেনেগালিজ ফুটবল ফেডারেশনের মহাসচিব ভিক্টর সিসে। সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সলের টুইট, পাপা মৃত্যু দেশের জন্য ‘অনেক বড় ক্ষতি।’

২০০১ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে সেনেগালের জার্সিতে ৬৫ ম্যাচ খেলেন পাপা। ২০০৪ সালে ফুলহামে যোগ দেন তিনি। খেলেছেন মোট চারটি ইংলিশ ক্লাবে। ২০০৮ সালে এফএ কাপে ৭৮ মিনিটে নাইজেরিয়ান কিংবদন্তি নওয়ানাকো কানুর বদলি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।

পাপার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছে ফিফা, ‘সেনেগালের কিংবদন্তি পাপা বুবা দিওপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছে ফিফা। বিশ্বকাপে একবারের নায়ক মানে সব সময়ই বিশ্বকাপের নায়ক।’