বেলের ওয়েলসকে স্বস্তি দিল ভিএআর

ড্র করেই খুশি গ্যারেথ বেলরা।ছবি: রয়টার্স

দুই দলেরই দুশ্চিন্তা ছিল স্ট্রাইকারদের নিয়ে। গোল করার কথা যাঁদের, সেই স্ট্রাইকারদের ঠিক গোল-ভরসা বলতে পারছিল না ওয়েলস বা সুইজারল্যান্ডের কেউই। একদিকে কিয়েফের মুর যেমন গোল করতে লজ্জা পান, ওদিকে আড় ভাঙতে বেশ লজ্জা হ্যারিস সেফেরোভিচের। তাই নজরটা ছিল একদিকে গ্যারেথ বেল আর ড্যানিয়েল জেমসের দিকে। ওদিকে জেরদান শাকিরি বা গ্রানিত শাকাই ছিলেন প্রতিপক্ষের মূল দুশ্চিন্তা।

সুইজারল্যান্ডের দুর্ভাগ্য, সেফেরোভিচ তাঁকে নিয়ে করা দুশ্চিন্তাগুলো সত্যি প্রমাণ করলেন। দলের দুর্দান্ত সব আক্রমণ নষ্ট হলো তাঁর কারণে। ওদিকে মুর হয়ে উঠলেন ওয়েলসের ত্রাতা। মুরের সুবাদেই নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকে অন্তত একটি পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারল ওয়েলস। ১-১ গোলে শেষ হওয়া ম্যাচে জিততে না পারার হতাশা নিয়ে ফিরল সুইজারল্যান্ড। শেষ মুহূর্তে ভিএআরে একটি গোল বাতিল হয়েছে সুইসদের।

সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে দিয়েছিলেন এমবোলো।
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচের শুরু থেকেই যেভাবে খেলা এগিয়েছে, তাতে নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারে সুইজারল্যান্ড। শুরু থেকেই খেলা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছিল সুইজারল্যান্ড। শাকা, শাকিরি আর কেভিন এমবাবুরা একের পর এক আক্রমণ করেছেন। ওদিকে স্ট্রাইকে সেফেরোভিচের সঙ্গী ব্রিল এমবোলোও সতীর্থকে জায়গা করে দিতে খেলছিলেন দারুণ। কিন্তু কাজের কাজ যাঁর করার কথা, সেই মূল স্ট্রাইকার যে বল গোলমুখেই রাখতে পারছিলেন না।

প্রথমার্ধে তাই নিরঙ্কুশ প্রাধান্য বিস্তার করেও গোল পেল না সুইজারল্যান্ড। যদিও প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি ওয়েলসের দখলে। ম্যাচের ১৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে দারুণ এক ক্রস করেছিলেন জেমস। তা থেকে মুরের হেডটাও দারুণ ছিল। কিন্তু সুইস গোলকিপার ইয়ান সোমার বিশ্বমানের এক সেভ করলেন। সোমারের সেভও যথেষ্ট হচ্ছিল না, বল সোমারের হাতে লেগে ক্রসবার ছুঁয়ে বাইরে গেছে।

সমালোচনার জবাব মুর গোল করেই দিলেন।
ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই খেলার ছন্দ মেনে গোল এল। ৪৯ মিনিটে শাকিরির কর্নার থেকে লাফিয়ে উঠে হেড করলেন এমবোলো। যোগ্য দল হিসেবেই এগিয়ে গেল সুইজারল্যান্ড। ম্যাচের ৬০ মিনিট পর্যন্ত তারাই ছড়ি ঘুরিয়েছে ম্যাচে। শাকিরি নেমে যাওয়ার পর সুইসদের আক্রমণের তীব্রতা কমে। আর ওয়েলসহ আক্রমণে গতি বাড়ায়। এরই ফল এসেছে ৭৪ মিনিটে। জো মোরেলের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ক্রসে দ্রুত ছুঁতে এসে এক হেড করেন মুর। সেটা একদম বার ঘেঁষে ঢুকে যায় জালে।

মারিও গাভ্রানোভিচের এই গোল বাতিল হয়েছে।
ছবি: রয়টার্স

৮৫ মিনিটে নায়ক বনে গিয়েছিলেন মারিও গাভ্রানোভিচ। মাত্রই মাঠে নামা এই ফরোয়ার্ড ওয়েলস গোলকিপার একদম সামনে থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) তাঁর উদ্‌যাপন থামিয়ে দিয়েছেন। ব্রিল এমবোলো যখন হেড করছিলেন, তখন অফসাইডে ছিলেন গাভ্রানোভিচ। ম্যাচটা সমতাতেই শেষ হয়েছে।

গ্রুপ ‘এ’র প্রথম ম্যাচে গতকাল ইতালি তুরস্ককে ৩-০ গোলে হারিয়েছে।