ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের করোনা, জিততে হলো আত্মঘাতী গোলে

শেষ মুহূর্তের জয়ের আনন্দ।ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় মাঠের বাইরে দলের মূল ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার জিয়ানকার্লো রদ্রিগেজ। প্রধান কোচ সাইফুল বারী টিটুর শরীরেও করোনার লক্ষণ থাকায় প্রবেশ করেননি মাঠে। এতে স্বাভাবিকভাবে দলের ওপর পড়েছিল বাজে প্রভাব। যদিও শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেই মাঠ ছেড়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র।

ম্যাচ শেষে দলের কোচিং স্টাফের এক সদস্য বলছিলেন, ‘খারাপের শেষটা হলো জয়ে।’ এই কথার মধ্যেই পুরো ম্যাচের সারমর্ম। খুব সাদামাটা একটি ম্যাচ খেলেছে শেখ রাসেল ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র। নিষ্প্রাণ ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল ম্যাচটি। যোগ করা সময়েরও শেষ মুহূর্তে আত্মঘাতী গোলে শেখ রাসেলের জয়। লিগে এটি শেখ রাসেলের চতুর্থ জয়। পাঁচ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দশম স্থানে মুক্তিযোদ্ধা।

দলের জয় এনে দেওয়া গোল এনে দেওয়ার পর মোনেকে।
ছবি: প্রথম আলো

আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে শেখ রাসেলকে জিতিয়েছিলেন জিয়ানকার্লো। লিগে এখন পর্যন্ত তিনটি গোল করেছেন দীর্ঘদেহী এই স্ট্রাইকার। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আজ তাঁকে পায়নি দল। তাঁর জায়গা পূরণের জন্য কত কিছুই না করতে হলো দলের সহকারী কোচ মাসুদ কায়সারকে! এই মৌসুমে আজ প্রথমবারের মতো আজ ৪-৪-২ ফরমেশনে খেলল ২০১২-১৩ মৌসুমের ট্রেবল জয়ীরা। স্থানীয় আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে স্ট্রাইকার হিসেবে খেললেন কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুশবেকভ। প্রথমার্ধে সন্তুষ্ট করতে পারলেন না তাঁরা। দ্বিতীয়ার্ধে জুটির বদল।

আশরাফুলের বদলি হিসেবে মাঠে পাঠানো হলো মোহাম্মদ ইলিয়াসকে আর বখতিয়ারকে মাঝমাঠে নিয়ে এসে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলানো হয় নাইজেরিয়ার মিডফিল্ডার ওবি মোনেকেকে। স্ট্রাইকিং জুটি বদলে গোল এসেছে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে শেখ রাসেলের আত্মঘাতী গোল পাওয়ায় অবদান মোনেকে ও বখতিয়ারেরই। বাম প্রান্ত দিয়ে ঝড়ের বেগে উঠে গোলমুখে ক্রস করেছিলেন মোনেকে। বখতিয়ারের ফ্লিক মুক্তিযোদ্ধার এক ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে জালে।

এর আগে পুরো ম্যাচটিই সাদামাটা। প্রথমার্ধের কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলতে শেখ রাসেলের মিডফিল্ডার খালেকুজ্জমান সবুজের গোল মিস। মুক্তিযোদ্ধা গোলরক্ষক মাহফুজ হাসানকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয়ার্ধেও জয় পাওয়ার মতো খেলতে পারেনি কোনো দল। শেষ মুহূর্তে ওই আত্মঘাতী গোলেই শেখ রাসেলের স্বস্তি। লিগে এখন পর্যন্ত অপরাজেয় রয়েছে তারা।