ব্রাজিলের নেইমার ছিলেন না, ছিলেন এক আর্জেন্টাইন

হ্যাটট্রিক করলেন ডি মারিয়া। ছবি: এএফপি
হ্যাটট্রিক করলেন ডি মারিয়া। ছবি: এএফপি
>
  • ফ্রেঞ্চ কাপে সোশোর বিপক্ষে হ্যাটট্রিক পেলেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া।
  • ৪-১ গোলে জিতেছে পিএসজি।
  • অপর গোলটি এডিনসন কাভানির।
  • জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে পিএসজি।

২২২ মিলিয়নের নেইমারকে ফ্রেঞ্চ কাপের ম্যাচে বিশ্রামেই রেখেছিল পিএসজি। দ্বিতীয় স্তরের দল সোশোর বিপক্ষে জিততে আবার এই ব্রাজিলীয় তারকাকে লাগে নাকি। কিন্তু এক আর্জেন্টাইন যে নিজেকে নতুন করে প্রমাণের জন্য মুখিয়ে ছিলেন। তাঁর হ্যাটট্রিকেই সোশোকে ৪-১ গোল হারিয়ে প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছ পিএসজি।

আর্জেন্টাইন মানে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই কিলিয়ান এমবাপ্পের মাপা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ১৩ মিনিটে পিএসজি সমর্থকদের আতঙ্কে ফেলে গোলটা শোধ করে দেয় সোশো—ফ্লোরিয়ান মার্টিন ছিলেন গোলদাতা। ২৭ মিনিটে উরুগুইয়ান এডিনসন কাভানির গোলে আবারও এগিয়ে যায় পিএসজি। লেইভিন কুরজাওয়ার ক্রস ছিল গোলটির উৎসমুখ।

৪০ মিনিটে স্কোরলাইনটাকে আরও বড় করতে পারত পিএসজি। ডি মারিয়ার ক্রস থেকে থিয়াগো সিলভার হেড ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ডি মারিয়া। হুলিয়ান ড্র্যাক্সলারের সঙ্গে ‘ওয়ান-টু’ খেলে সোশোর ডিফেন্স ভাঙেন মার্কো ভারাত্তি। পরে বল জালে জড়ান ডি মারিয়া।
দ্বিতীয় গোলের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ডি মারিয়া। কাভানির দুর্দান্ত একটি শট সোশোর গোলরক্ষক লরেন্স আতি ফিস্ট করলে সেটি চলে যায় আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের কাছে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন ডি মারিয়া। ২০১০ সালের পর এটি তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক।

রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের আগুন খেলা পরের সপ্তাহে। সে ম্যাচের আগে সোশোর বিপক্ষে ম্যাচটাকে ‘চোট থেকে মুক্ত থাকা’র ম্যাচ হিসেবেই নিয়েছিল পিএসজি। সে লক্ষ্যে সফল হওয়ার পর উনাই এমেরির উপরি পাওয়া ডি মারিয়ার হ্যাটট্রিক, ‘ডি মারিয়ার হ্যাটট্রিকে আমি দারুণ খুশি। সে স্কোয়াডে কিংবা প্রথম একাদশে থাকতেই পারে। তবে আমি মনে করি এটা ডি মারিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। খুব বেশি পরিবর্তন আমার চোখে পড়েনি। সে এমন খেলোয়াড়ই। ডি মারিয়া পিএসজির খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।’

নতুন বছর আসতেই দারুণ কার্যকর ডি মারিয়া। গত ১০ ম্যাচের ৯টিতেই গোল পেয়েছেন এই আর্জেন্টাইন। তিনি বার্তা দিতেই পারেন। ব্রাজিলীয় নেইমারই এমেরির দলের সবকিছু নয়। একজন আর্জেন্টাইনেও ভরসা রাখতে পারেন তিনি।