সংসদ সদস্যকে ধুয়ে দিলেন রাশফোর্ড

শুধু খেলা নিয়েই নয়, চ্যারিটি কাজেও আছেন রাশফোর্ডছবি: রয়টার্স

শিশুদের জন্য বরাবরই প্রাণ কাঁদে মার্কাস রাশফোর্ডের। করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে ব্রিটেনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইংলিশ ফরোয়ার্ড। ব্রিটেনের স্কুলগুলোয় দরিদ্র শিশুদের দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু অতিমারির কারণে স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে ওই সব শিশুরা। রাশফোর্ড সুবিধাবঞ্চিত ওই সব শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা করতে অর্থ সংগ্রহে নামেন। তাতে বেশ সাড়াও পেয়েছেন, অনেক শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন রাশফোর্ড।

তবে সে পথে বাধা যে আসেনি, অপ্রিয় কথা যে শুনতে হয়নি রাশফোর্ডকে, তা নয়। এখনো শুনতে হচ্ছে। তেমনই এক অপ্রিয় কথা বলেছেন ব্রিটেনের এক সংসদ সদস্য। তবে তাঁকে কড়া জবাব দিতেও ছাড়েননি রাশফোর্ড।  

দরিদ্র শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিতে রাশফোর্ডের উদ্যোগ দেখে এগিয়ে আসে ব্রিটিশ সরকার। ইংলিশ ফরোয়ার্ডের মতো বিভিন্ন মহল থেকে তারা প্রশংসাও পেতে শুরু করেন। সম্প্রতি ব্রায়ান ব্যারেট নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী প্রশংসা করার পাশাপাশি ব্রিটেনের সরকারকে একটি খোঁচাও দিয়েছেন, ‘আমরা খাবার নিয়ে আলোচনা করছি। আমাদের চারপাশে অভুক্ত শিশুদের দায়িত্ব কেন ফুটবলার মার্কাস রাশফোর্ডকে নিতে হবে? এই কাজ কি সরকারের নয়?’

ব্যারেটের টুইটটি ভালো লাগেনি ব্রিটেনের সংসদ সদস্য কেভিন হোলিনরেকের। ইয়র্কশায়ারের থার্স্ক ও ম্যাল্টন থেকে নির্বাচিত যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ দলের সদস্য ব্যারেটের টুইটের জবাব দিতে গিয়ে পাল্টা টুইট করেছেন। যে টুইটটি একটু অন্যরকমই ছিল। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘শিশুদের খাবার দেওয়ার কাজ তাদের বাবা–মায়ের।’

রাশফোর্ডের আবার হোলিনরেকের টুইটটি ভালো লাগেনি। ব্রিটেনর এই সংসদ সদস্যের সমালোচনা করে টুইট করেছেন তিনি। যে টুইটটি এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার ‘লাইক’ পেয়েছে। রাশফোর্ডের টুইটটি ছিল এই, ‘আমি আপনাকে (হোলিনরেক) পরামর্শ দেব, টুইট করার আগে পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন। আমি এখন পর্যন্ত এমন কোনো বাবা–মা পাইনি, যাঁরা তাঁদের শিশুদের খাবার জোগানোর দায়িত্ব নিতে চান না।’

২২ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড এটুকু বলেই থামেননি। তিনি লিখেছেন, ‘এমন মন্তব্য মানুষকে সত্য বলা আর সাহায্য চাওয়া থেকে বিরত করবে। আমাদের উচিত একে অন্যকে মানসিকভাবে চাঙা রাখা। এই ধরনের টুইট যিনিই করতেন, আমি একইভাবে জবাব দিতাম...।’