ভাইনালডম–ডিপাইয়ের অনেক পাওয়ার এক রাত
আনুষ্ঠানিকতার এক ম্যাচই নেদারল্যান্ডসকে এনে দিল কত অর্জন। উত্তর মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামার আগেই শতভাগ জয়ে ইউরো ২০২০–এর শেষ ১৬ নিশ্চিত করে ফেলেছিল কমলা বাহিনী। কাল শেষ ম্যাচে জয়টাই ছিল প্রত্যাশিত। ৩-০ ব্যবধানে সে প্রত্যাশিত জয়টা তুলে নিয়ে ফ্রাঙ্ক ডি বোরের শিষ্যরা মাথা আরও উঁচু করেই পরের রাউন্ডে পা রাখল। মেসিডোনিয়ার জন্য যে ম্যাচ ছিল সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরার উপলক্ষ, সেখানে নেদারল্যান্ডসের জন্য ম্যাচটা কেবল জয়ের স্মৃতি হয়েই রইল না, বেশ কিছু রেকর্ডে সেটি হয়ে রইল ইতিহাসের অংশ।
কাল জোড়া গোল করেছেন সদ্যই লিভারপুল ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়া ডাচ অধিনায়ক জর্জিনিও ভাইনালডম। অন্য গোলটি বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি করে ফেলা মেম্ফিস ডিপাইয়ের। ভাইনালডমের একটি গোলেও আছে ডিপাইয়ের অবদান।
ডাচ অধিনায়ক কালকের দিনটি আলাদা করেই স্মরণ রাখবেন। দেশের হয়ে ৭৮টি ম্যাচ খেলে ২৫ গোল করা ভাইনালডম মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ছাড়িয়ে গেছেন একসময়ের নেদারল্যান্ডস গ্রেট মার্কো ফন বাস্তেনকে। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেদারল্যান্ডসের একমাত্র শিরোপা এসেছিল ১৯৮৮ সালের ইউরোতে। সে গৌরবের নায়ক বাস্তেনকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা ভাইনালডমের জন্য বিশেষ সম্মানের। তবে নেদারল্যান্ডসের হয়ে সর্বকালের সেরা গোলদাতা হতে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে ভাইনালডমকে। কাল ২৫ গোল করে এ তালিকায় সবে তাঁর অবস্থান ১৪তম। ডাচদের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০২ ম্যাচ খেলে ৫০ গোল রবিন ফন পার্সির। গোলসংখ্যায় বাস্তেনকে পেরিয়ে গেলেও তিনি অবশ্য ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৫৮টি। ২৫ গোল করে ভাইনালডম একবিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছেন রাফায়েল ফন ডার ভার্টের সঙ্গে। কালকের ম্যাচে আরেক গোলদাতা মেম্ফিস ডিপাই অবশ্য ভাইনালডমের চেয়ে এগিয়ে আছেন গোলে। তিনি ৬৭ ম্যাচে করেছেন ২৮ গোল।
ভাইনালডম যদি বাস্তেনকে পেরিয়ে যাওয়ার জন্য কালকের রাতটি বিশেষভাবে মনে রাখেন, তাহলে ডিপাই মনে রাখবেন, বিশেষ এক কীর্তির জন্য। তিনি কাল গোল করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইনালডমকে দিয়ে যে গোলটি করিয়েছেন, সেটি দিয়ে ঢুকে গেছেন রেকর্ড বইয়ে। তিনি নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে কেবল দ্বিতীয় ফুটবলার, যিনি জাতীয় দলের হয়ে এক ম্যাচ গোল ও অ্যাসিস্ট দুটিই করেছেন। অন্য নামটি ওয়েসলি স্নাইডারের।
গতকালকের রাত নেদারল্যান্ডস ফুটবল দলের জন্যও ছিল বিশেষ কিছু। এ ম্যাচ দিয়ে টানা ১০ ম্যাচে কমলা দল দুই বা এর অধিক গোলে জয় পেল। এর আগে সেই ১৯৩৪-৩৫ সালে নেদারল্যান্ডস টানা ৯ ম্যাচে এমন কিছু করেছিল।
ইউরোতে এ দুজনের জন্য দলটি আশাবাদী হতেই পারে!