ভিয়ারিয়াল কম গোল করায় হেরেও স্বস্তি বায়ার্নের

হারের পর মাঠ ছাড়ছেন বায়ার্ন তারকা লেভানডফস্কিছবি:: রয়টার্স

ভিয়ারিয়ালের তুলনায় মিউনিখ ধারে-ভারে সবদিক থেকেই কুলীন শহর। এ দুটি শহরের ক্লাব মুখোমুখি হলে কোন দল এগিয়ে থাকবে, আন্দাজ করে নিতে পারেন অনেকে।

ইতিহাসও বলছে, বায়ার্ন মিউনিখ ছয়বারের ইউরোপসেরা। স্পেনে ভিয়ারিয়াল কখনো লা লিগাও জিততে পারেনি। অথচ সেই ভিয়ারিয়ালই কি না, হারিয়ে দিল বায়ার্নকে!

জার্মান ফুটবলে সবচেয়ে সফল দল, বুন্দেসলিগায় ৩১বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগ খেলতে নেমেছিল ভিয়ারিয়ালের মাঠ এস্তাদিও লা সেরামিকায়। ১-০ গোলের হার নিয়ে ফিরেছে ইউলিয়ান নাগালসমানের দল।

বায়ার্নের ভাগ্য ভালো যে গোল আর হয়নি। যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে 'হলুদ সাবমেরিন'খ্যাত ভিয়ারিয়াল। গোলের বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।

ভিয়ারিয়ালের হয়ে গোল করেন আরনাউত দানুমা
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচের ৮ মিনিটে জিওভান্নি লো সেলসোর ক্রস থেকে গোল করেন ভিয়ারিয়ালের উইঙ্গার আরনাউত দানুমা। এই গোল পুঁজি করেই শেষ পর্যন্ত জিতেছে ভিয়ারিয়াল। প্রথমার্ধে ফ্রান্সিস কোকুলিনের গোল অফ সাইডের কারণে বাতিল না হলে জয়ের ব্যবধান বাড়াতে পারত ইউরোপা লিগজয়ীরা।

স্প্যানিশ স্ট্রাইকার জেরার্দ মোরেনো গোলের দুটি সুযোগ নষ্ট করেন। তাঁর দুরপাল্লার শট বায়ার্নের পোষ্টে লাগে, আরেকবার বায়ার্ন গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যারকে একা পেয়েও লব করতে গিয়ে বল বাইরে মারেন মোরেনো। দানুমা ও আলফানসো পেদরাজাও ম্যাচের শেষ দিকে দুটি করে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।

বুধবার অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনায় ফিরতি লেগ। বায়ার্নের মাঠে এ ম্যাচের আগে গোল ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে না পারার হতাশা ঝরল ম্যাচসেরা ভিয়ারিয়াল মিডফিল্ডার লো সেলসোর কণ্ঠে, 'আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের মুখোমুখি হয়ে ভালো খেলেছি। তবে আরও গোল করা উচিত ছিল।'

রবার্ট লেভানডফস্কি, টমাস মুলার ও নাব্রিদের খেলার জন্য জায়গা দেয়নি ভিয়ারিয়ালের রক্ষণ। প্রতিবারই বক্সের সামনে এসে মুখ থুবড়ে পড়েছে বায়ার্নের আক্রমণ। ম্যাচ শেষে ব্যাখ্যা করলেন লো সেলসো, 'আমরা জানতাম খেলার জায়গা ছোট করতে হবে। তারা এমন একটা দল যাদের খেলার জন্য জায়গা দেওয়া চলবে না। আমরা সে কাজটা করে নিজেদের খেলাটা খেলতে পেরেছি।'

জয়ের পর ভিয়ারিয়ালের খেলোয়াড়দের উদযাপন
ছবি: রয়টার্স

বায়ার্ন তারকা টমাস মুলার মাত্র এক গোলে হারায় স্বস্তি পাচ্ছেন, ‘১-০ গোলের হারটা আমরা (ইতিবাচকভাবে)) নিচ্ছি। এর চেয়ে খারাপ হতে পারত।’ বায়ার্ন কোচ নাগালসমানের ভাষায়, ‘হারই প্রাপ্য ছিল। আমরা ভালো খেলিনি।’

শেষ ষোলোয় জুভেন্টাসকে বিদায় করার পর শেষ আটে প্রথম লেগে বায়ার্নকেও হারাল ভিয়ারিয়াল। চ্যাম্পিয়নস লিগে এ মৌসুমে বায়ার্নের অপরাজিত থাকার ধারারও অবসান ঘটল।

২০১৭ সালের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে এই প্রথম প্রতিপক্ষের মাঠে হারল বায়ার্ন। ভিয়ারিয়াল কতটা ভালো খেলেছে তার প্রমাণ দিচ্ছে আরও একটি পরিসংখ্যান। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের আগের ৩০ ম্যাচেই অন্তত গোল করেছে বায়ার্ন।

আজকের ম্যাচের আগে বায়ার্ন সর্বশেষ গোল পায়নি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লিভারপুলের বিপক্ষে।