ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন সাবেক ফিফা সভাপতি

সেপ ব্ল্যাটারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ছবি: রয়টার্স

প্রিয়জন, পরিচিত মুখ ও জনপ্রিয় মানুষ হারানোর ক্ষেত্রে ২০২০ সালকে কেউ ভুলতে পারবে না। ডিয়েগো ম্যারাডোনা থেকে শুরু করে পাওলো রসি, কোবি ব্রায়ান্ট কিংবা বাদল রায়—ক্রীড়াঙ্গন হারিয়েছে অনেককেই। অনেকের আশা ছিল, বছর পেরোলে হয়তো প্রিয়জন হারানোর বেদনা কমবে একটু। কিন্তু ২০২১ সালও পূর্বসূরির মতো বুকে কাঁপন ধরিয়েই যাচ্ছে।

এবারের আশঙ্কাটা ছিল সাবেক ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারকে নিয়ে। গুরুতর স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় সুইজারল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৮৪ বছর বয়সী ব্ল্যাটার।

এককালে ফিফা শব্দটির সঙ্গে সমার্থক হয়ে যাওয়া ব্ল্যাটারের বাঁচার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ ছিল। তবে আশার কথা, ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্বে থাকা ব্ল্যাটারের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। ব্ল্যাটারের মেয়ে কোরিন ব্ল্যাটার নিজেই জানিয়েছেন এ খবর।

সুইস সংবাদপত্র ব্লিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোরিন বলেছেন, ‘আমার বাবা এখন হাসপাতালে ভর্তি। তবে তিনি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এখনো তাঁর অনেক সময় ও বিশ্রামের দরকার। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে আমাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।’

তবে ব্ল্যাটার এবারই যে প্রথম জীবন-মরণ সমস্যায় পড়লেন তা কিন্তু নয়, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের দিকে দুবার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্ল্যাটার। এ ছাড়া হাঁটুর অস্ত্রোপচার, ত্বকের সমস্যার কারণেও বেশ ভুগেছেন সাবেক এই ফিফা সভাপতি। এমনকি গত মাসেও করোনা পজিটিভ হয়েছেন ব্ল্যাটার, এমন খবর শোনা গিয়েছিল।

দুর্নীতির দায়ে ২০১৫ সালে নিষিদ্ধ হন ব্ল্যাটার।
ছবি: রয়টার্স

১৭ বছর ফিফার হর্তাকর্তা থাকার পর ২০১৫ সালে দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ হন ব্ল্যাটার, আট বছরের জন্য। পাশাপাশি মোটা অঙ্কের জরিমানাও দিয়েছিলেন। পরে নিষেধাজ্ঞার মেয়ার আট বছর থেকে কমে ছয় বছর হয় যদিও। একই অভিযোগে ব্ল্যাটারের সঙ্গে অভিযুক্ত হয়েছিলেন সাবেক উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনিও।