গোলবন্যায় শিরোপা উদ্‌যাপন বায়ার্নের

ম’গ্লাডবাখের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড়দের গোল উদ্‌যাপন। এ ম্যাচ খেলতে নামার আগেই অবশ্য শিরোপা উদ্‌যাপন করেছে বায়ার্ন।ছবি: রয়টার্স

এর চেয়ে অসাধারণ বিদায় উপহার আর কীই-বা হতে পারত হান্সি ফ্লিকের জন্য?

চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়ার পর বলেছিলেন আর বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্বে থাকতে চান না। এ মৌসুমে ঘরোয়া কাপ জেতা হচ্ছে না, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকেও বাদ। ফলে শুধু লিগ জেতাটাই সম্ভব ছিল তাঁর। দলকে চ্যাম্পিয়ন করেই দায়িত্ব ছাড়ছেন এই কোচ। সেটাও কয়েক ম্যাচ হাতে রেখেই।

ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই বায়ার্ন জেনে গেছে এবারও বুন্দেসলিগা তাদের। দুইয়ে থাকা লাইপজিগ নিজেদের মাঠে হেরে গিয়েছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে। তাই মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ম্যাচের ফলে কিছু যেত–আসত না দলটির। কিন্তু এমন উপলক্ষ পেয়ে রাতটা রাঙালেন রবার্ট লেভানডফস্কি। তাঁর হ্যাটট্রিকে ৫-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।

বায়ার্নের শিরোপা উৎসবটা হতে পারত গত ২৪ এপ্রিল। কিন্তু সেদিন মাইনিৎসের বিপক্ষে হারটা শিরোপা উৎসবই শুধু দেরি করিয়েছে তাদের। পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকে থাকা দলটি সেদিন ২-১ গোলে জিতে চমক দেখিয়েছিল। সেদিনের হার তাদের উৎসব করতে দেয়নি। আজ জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত হতো তাদের। আজ মাঠে নামার আগেই বায়ার্ন জিতে গেল রেকর্ড টানা নবম বুন্দেসলিগা।

বুন্দেসলিগায় আজ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৩-২ গোলে হারিয়েছে লাইপজিগকে। ম্যাচে মার্কো রয়েসের ৭ মিনিটে গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। ৫১ মিনিটে জাডোন সাঞ্চো করেন ২-০। কিন্তু ৬৩ মিনিটে লুকাস ক্লস্টারমান গোল করলে ম্যাচে ফেরে লাইপজিগ। ৭৭ মিনিটে স্প্যানিশ দানি ওলমোর গোলে স্কোর ২-২ করে লাইপজিগ। কিন্তু ৮৭ মিনিটে সাঞ্চোর দ্বিতীয় গোলে হৃদয় ভেঙে যায় লাইপজিগের। আর ডর্টমুন্ডের জয়ে শিরোপা নিশ্চিত হয় বায়ার্নের। ৩২ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে লাইপজিগ। আর ৩১ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।

লেভানডফস্কির গোল উদ্‌যাপন।
ছবি: রয়টার্স

ঘরের মাঠে এমন আনন্দ নিয়ে মাঠে নামা বায়ার্ন তাই গোল উৎসব করল। ২ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিয়েছেন লেভানডফস্কি। ২৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান থমাস মুলার। ৩৪ মিনিটে বাইসাইকেল কিকে দ্বিতীয় গোল লেভার। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই চতুর্থ গোল এনে দিয়েছেন ইউশুয়া কিমিখ। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ১৫ মিনিট একজন কম নিয়ে খেলেছে চ্যাম্পিয়নরা। ৭৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখেছেন তাঙ্গি নিয়ানজু। অবশ্য এর ১০ মিনিট আগেই হ্যাটট্রিক হয়ে গেছে লেভানডফস্কির।

১৯৬৩ সালে বুন্দেসলিগা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বায়ার্ন ৩০ বার শিরোপা জিতল। ২০০০ সালের পর এটা বায়ার্নের ১৬তম শিরোপা। এরই মধ্যে থমাস মুলার ও ডেভিড আলাবা একটা রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন। দুজনই বায়ার্নের হয়ে ১০টি শিরোপা জিতলেন। যদিও ফ্লিকের মতো এটাই বায়ার্নের হয়ে আলাবার শেষ মৌসুম।