মাঠেই গালাগালি শুরু করে দিয়েছিলেন বার্সা তারকারা!

ম্যাচে এমবাপ্পের আলোয় ম্লান হয়ে পড়েছিলেন মেসি।ছবি : রয়টার্স

প্রতিপক্ষের কাছে বারবার পর্যুদস্ত হতে থাকলে কার মেজাজ ঠিক থাকে!

ক্যাম্প ন্যুতে কাল চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলো প্রথম লেগেও ঠিক এমন কিছুর শিকার হয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। প্রকাশের অযোগ্য সব ভাষায় ঝাল ঝাড়ছিলেন। পিকের মেজাজ হারানো সংক্রমিত হয় আঁতোয়ান গ্রিজমানের মধ্যেও। সতীর্থের সঙ্গে লেগে যায় ফরাসি ফরোয়ার্ডের। এ সময় অশ্রাব্য কিছু ভাষায় বাগ্‌যুদ্ধ হয় দুজনের।

ঘরের মাঠে পিএসজির কাছে ৪-১ গোলে হেরেছে বার্সা। এ ম্যাচে পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে, লেভিন কুরজাওয়াদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বার্সার রক্ষণভাগ। এমবাপ্পের গতির আগুনে পুড়েছে বার্সা রক্ষণ।

পিকেরি শুরু করেন গালাগালি।
ছবি : রয়টার্স

ম্যাচ তখন ১-১ গোলে সমতায়। কর্নার পেয়েছে পিএসজি। ৩৮ মিনিটের সে সময়ে মেজাজ হারান পিকে। তার আগে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণের পর আক্রমণ করে যাচ্ছিল পিএসজি—বিশেষ করে এমবাপ্পে ও কুরজাওয়া। দুজনের বাগ্‌যুদ্ধের অডিও প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম। পিকের মেজাজ হারানো এবং তার প্রতিক্রিয়ায় গ্রিজমানের জবাব তুলে ধরা হলো পাঠকের জন্য:

পিকে (সবার প্রতি চেঁচিয়ে): ভাই, দোহাই লাগে, বল পায়ে রাখো! বল বেশিক্ষণ ধরে পায়ে রাখো!

গ্রিজমান: শান্ত হও জেরি (পিকে)। চেঁচামেচি থামাও।

পিকে: চুপ কর, গ্রিজি!

গ্রিজমান: মর তুই!

পিকে: না, তুই মর! আমরা ভুগছি। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে এমন হচ্ছে।

গ্রিজমান: চিৎকার করা থামাও।

ক্লেমঁ লংলে এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করেন। দুজনের বাগ্‌যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করে সতীর্থদের গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এরপরও থামেনি পিকে-গ্রিজমান বাগ্‌যুদ্ধ।

পিকে: এই (গালাগালি)! আমরা পাগলের মতো দৌড়াচ্ছি।

গ্রিজমান: আমিও তো দৌড়াচ্ছি।

বলা বাহুল্য, প্রতিটি শব্দের পরেই একে অপরকে প্রকাশের অযোগ্য কিছু ভাষায় 'মধুবর্ষণ' করেছেন পিকে আর গ্রিজমান। সঙ্গত কারণেই যা প্রকাশ করা হলো না।

পিকের কথা শুনে থেমে থাকেননি গ্রিজমানও।
ছবি : রয়টার্স

দুজনের এই গালাগালিতে কোনো কাজ হয়নি। ক্যাম্প ন্যু থেকে বিশাল এক জয় নিয়েই প্যারিসে ফিরেছে পিএসজি। হ্যাটট্রিক করেছেন এমবাপ্পে। তাঁর গতির খেলায় রীতিমতো পর্যুদস্ত হয়েছেন পিকে, লংলে, গ্রিজমানরা। ওদিকে আরেকটা গোল করেছেন ইতালিয়ান স্ট্রাইকার মইস কিন। শুরুতে মেসি গোল করেও তাই দলের ভাগ্য বদলাতে পারেননি।