সমালোচনার জবাব দিতে খুব বেশি সময় নেন না নেইমার। মাঠে তো নয়ই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও না। গত কোপা আমেরিকায় তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয় পড়েছিল, বলা হচ্ছিল মোটা হয়ে গেছেন নেইমার, ঠিকমতো পরিশ্রম করেন না। জবাব দিতে খুব বেশি সময় নেননি। নিজের ‘সিক্স প্যাক’ দেখিয়ে দেন কদিন পরই।
গত পরশু লরিয়াঁর বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন নেইমার। কদিন আগেই কড়া সমালোচনা শুনতে হয়েছে তাঁকে। পরশু আবার পারফরম্যান্সের প্রশংসা করা হয়েছে। নিজের পারফরম্যান্সের পেছনের রহস্য জানাতে গিয়ে নেইমার সমালোচকদের একটা খোঁচা দিয়েছেন। বলেছেন, মাতাল ছিলেন বলেই এত ভালো খেলেছেন।
লিগে লরিয়াঁর বিপক্ষে ৫-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। ম্যাচে গোল পেয়েছেন মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেত্রয়ীর তিনজনই। এমবাপ্পে নিজে দুই গোল করেছেন, বাকি তিন গোলই করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। ম্যাচের শুরুতে ও শেষে দুটি চমৎকার গোল করেছেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গোলের ভিডিও দিয়েছেন। আর সে সঙ্গে ক্যাপশন লিখে দিয়েছেন, ‘আমি মাতাল ছিলাম, এ কারণেই এটা হয়েছে...ওরা তো এখানে এমনটাই বলে।’
কথাটা যে মজা করে বলা হয়েছে, সেটা তো বোঝাই যায়। কিন্তু কেন বলা হয়েছে, সেটা জানতে হলে একটু পেছনে ফিরতে হবে। চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের পর সমর্থকদের দুয়ো শুনেছেন পিএসজি তারকা। এতে নাকি ভেঙে পড়ে অনুশীলন প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন।
আরএমসি স্পোর্টসের সাংবাদিক দানিয়েল রাইওলো দাবি করেছিলেন, নেইমার একদম ভেঙে পড়েছেন। রাইওলো বলেছেন, ‘নেইমার এখন অনুশীলন বলতে গেলে করেই না। খুবই করুণ অবস্থায় আসে অনুশীলনে, প্রায় মাতাল অবস্থায়। এখন এমনই চলছে। পিএসজির ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার মানসিকতা দেখা যাচ্ছে তাঁর মধ্যে। ক্লাব ও সতীর্থদের সঙ্গে সম্পর্ক একদম নষ্ট হয়ে গেছে।’
তখন এ নিয়ে টুঁ শব্দও করেননি নেইমার। তাঁর ক্লাবও এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি। পিএসজি বলেছিল, ভুয়া খবর নিয়ে কথা বলতে রাজি নয় তারা। আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিলের জার্সিতে আলো ছড়িয়েছেন নেইমার। ফিরে এসে ক্লাবেও করেছেন জোড়া গোল। তারপরই খোঁচা মেরেছেন সাংবাদিককে।
এ মৌসুমে পিএসজির জার্সিতে ২২ ম্যাচ খেলে ৭ গোল করেছেন নেইমার। তিনটি গোলে সহায়তা করেছেন। দুই সতীর্থের চেয়ে এদিকে অনেক পিছিয়ে থাকলেও গত কয়েক ম্যাচে ধীরে ধীরে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন নেইমার।