‘মূর্খ’ রোনালদোর সতীর্থ ও ইতালিয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নেই

জুভেন্টাসের অনুশীলনে সতীর্থদের সঙ্গে চনমনে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোছবি: টুইটার

২০১৮ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর এরই মধ্যে দলটির হয়ে দুই মৌসুম খেলে ফেলেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গত মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় মোট ৩৭ গোল করে ক্লাবের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। লিগে ৩৪ ম্যাচে রোনালদোর গোল ছিল ৩১টি।

জুভেন্টাসে এ নিয়ে তিন মৌসুম খেলছেন পর্তুগিজ তারকা। ইতালির হাওয়া-জল থেকে সতীর্থরা এত দিনে তাঁর প্রিয় হয়ে ওঠার কথা। কিন্তু কেউ কেউ তা মনে করছেন না।

করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর জুভেন্টাসের অনুশীলনে নিজেকে প্রস্তুত করছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
ছবি: টুইটার

রোনালদোকে মাথায় তুলে রাখেন জুভেন্টাস সমর্থকেরা। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর দ্রুত আরোগ্য লাভে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন সমর্থকেরা।

কিন্তু দলের সতীর্থদের প্রতি পর্তুগিজ তারকার কোনো সম্মানবোধ নেই বলে মনে করেন জুভেন্টাসেরই সাবেক ডিফেন্ডার পাসকুয়ালে ব্রুনো। দুই বছর ইতালিতে থাকলেও দেশটির প্রতি রোনালদোর সম্মানবোধের অভাব দেখছেন তিনি। এখানেই থামেননি! রোনালদোকে ‘মূর্খ’ও বলেছেন ব্রুনো।

২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেন রোনালদো। কিন্তু এখনো ইতালিয়ান ভাষায় কথা বলতে পারেন না বলে ব্রুনোর অভিযোগ, ‘সে (রোনালদো) মূর্খ। দুই বছর ইতালিতে আছে কিন্তু এখনো আমাদের ভাষাটা শিখতে পারেনি। সে নিজেকে প্রকাশ করতে স্প্যানিশ ভাষা ব্যবহার করে। সতীর্থ বা ইতালিয়ানদের প্রতি তাঁর কোনো শ্রদ্ধা নেই।’

জুভেন্টাসের রক্ষণভাগ সামলেছেন ব্রুনো
ছবি: টুইটার

ব্রুনোর কথা শুনে মন খারাপ হতে পারে রোনালদোর। তবে জুভেন্টাসে তাঁর কলম্বিয়ান সতীর্থ কুয়াদ্রাদো যা বলেছেন, তাতে ব্রুনোর অভিযোগ টেকার কথা না। রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কুয়াদ্রাদো, ‘রোনালদো খুবই সুখী মানুষ। সে খেলার জন্য অপেক্ষা করতে পারেননি।’ স্পষ্টত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোনালদোর তুরিনে ফেরা এবং সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলে রোনালদো। সুস্থ হয়ে মাফে ফিরেই দেখিয়েছেন ঝলক। সিরি আ তে স্পেৎসিয়ার বিপক্ষে ফেরার ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন রোনালদো। তাঁর দলও পেয়েছিল ৪-১ গোলের বড় জয়।

দলে রোনালদোর ভূমিকা প্রকাশ করতে গিয়ে সে ম্যাচের প্রসঙ্গ তুলেছেন কুয়াদ্রাদো, ‘যে মুহূর্ত থেকে তিনি (স্পেৎসিয়ার বিপক্ষে) মাঠে পা রেখেছেন, দলের অস্ত্র হয়ে উঠেছে। তিনি দলকে কী দিতে পারেন, আমরা সবাই জানি। অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী এবং দলকে সহায়তা করেন। তাঁর মতো পেশাদারি মনোভাব ও জয়ের নেশা আমাদের সবার থাকা উচিত।’