মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ড দেখলেন নেইমার

লাল কার্ড দেখলেন নেইমার।ছবি: এএফপি

চোট কাটিয়ে নেইমার মাঠে ফিরেছেন আন্তর্জাতিক ফুটবল বিরতির আগেই। কিন্তু লিওঁর বিপক্ষে সে ম্যাচে বদলি নেমেছিলেন নেইমার। দলের ৪-২ গোলের জয়েও কোনো অবদান ছিল না। সে তুলনায় আজ বেশ বড় উপলক্ষ ছিল তাঁর সামনে। ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম মূল একাদশে খেলতে নেমেছিলেন। সেটাও যৌথভাবে লিগের শীর্ষে থাকা লিলের বিপক্ষে। এমন দারুণ উপলক্ষ পেলেই তো জ্বলে ওঠেন বড় তারকারা।

লিগ ‘আঁ’তে আজ সে পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন নেইমার। কোনো গোল পাননি, করাতে পারেননি কোনো গোল। বরং মেজাজ হারিয়ে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে লাল কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ২০২০ সালের পর থেকে এ নিয়ে তিনবার লাল কার্ড দেখলেন নেইমার। ফ্রেঞ্চ লিগে এই সময়ে তাঁর চেয়ে বেশি লাল কার্ড দেখেননি কেউ। দলের সেরা তারকারই যখন এ অবস্থা, পিএসজি আর ভালো করে কীভাবে।

মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি। লিগে আবার শীর্ষে উঠে গেছে লিলে।

এই ফাউলেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেছেন নেইমার।
ছবি: এএফপি

মাত্র ৪ পয়েন্টের ব্যবধান লিগের শীর্ষ চার দলের মধ্যে। ফ্রেঞ্চ লিগে আট ম্যাচ বাকি থাকতে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই চলছে। শীর্ষ দুই দল পিএসজি ও লিলের পয়েন্ট ৬৩। এর মধ্যে মোনাকো আজ জয় পেয়ে তিনে (৬২ পয়েন্ট) উঠে এসেছে। এমন অবস্থায় শীর্ষ স্থানের জন্য লড়াই করতেই নেমেছিল দুই দল। যার ফল ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটেই প্রথম হলুদ কার্ড দেখাতে বাধ্য হয়েছেন রেফারি। ১৯ মিনিটের মধ্যেই আরও দুজন নাম লিখিয়েছেন রেফারির হলুদ কার্ডে। ২০ মিনিটেই ধাক্কা খেল পিএসজি। কানাডিয়ান স্ট্রাইকার জোনাথন ডেভিড একদম গোলমুখে বল পেয়ে দলকে এগিয়ে দেন।

ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। ওদিকে নেইমারকে বিরক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে নামেন লিলের খেলোয়াড়েরা। স্বাভাবিক খেলায় মন দিতেই পারেননি নেইমার-এমবাপ্পেরা। দুজনই হলুদ কার্ড দেখেছেন। আবার প্রাণপণ চেষ্টা করেও গোলের দেখাও পাননি। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে নেইমারকে বারবার ফাউল করছিলেন তিয়াগো জালো। আগেই এক হলুদ কার্ড দেখা নেইমার মাথা ঠান্ডা করে রাখতে পারেননি। ক্ষোভ প্রকাশ করে ধাক্কা দিয়ে দেখেছেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। ওদিকে জালোকেও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি। দুই দলই যোগ করা সময় একজন কম খেলোয়াড় নিয়ে খেলেছে।

৮ হলুদ কার্ড ও দুই লাল কার্ডের ম্যাচে আর ফেরা হয়নি পিএসজির। আজ রাতে লিওঁ যদি নিজেদের ম্যাচ জিততে পারে, তবে পয়েন্টের দিক থেকে তারাও পিএসজিকে ছুঁয়ে ফেলবে।