মেসি-ইনিয়েস্তা-টার স্টেগান বার্সার সাফল্যের তিন সৈনিক

বার্সার সাফল্যের তিন প্রধান সৈনিক
বার্সার সাফল্যের তিন প্রধান সৈনিক
>

অপরাজিত থেকেই লা লিগা জিতল বার্সেলোনা। ন্যু ক্যাম্পে সৈনিকের অভাব না থাকলেও তিনজনকে আলাদা করেই রাখতে হচ্ছে

রোববার দেপোর্তিভো লা করুনিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ২৫তম লিগ শিরোপাটা নিজেদের করে নিয়েছে বার্সেলোনা। চার ম্যাচ হাতে রেখেই সাফল্য ধরা দিয়েছে তাদের। গোটা লিগে একটি ম্যাচেও না হারা বার্সেলোনার এই সাফল্যে অনুপ্রেরণা ছিলেন কারা?

লিওনেল মেসি
আর্জেন্টাইন তারকাকে ছাড়া বার্সেলোনা পথ চলার কথা ভাবতে পারে নাকি! এই মৌসুমেও ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারিগর যে মেসিই। মৌসুমে গোল করেছেন ৩২টি। নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকেই। অনেকে ম্যাচেই দলকে বাঁচিয়েছেন খাদের কিনারা থেকে। তিনি কেবল গোলই করেননি। অনেক সময় তাঁর অ্যাসিস্টগুলোও ছিল বার্সেলোনার জন্য জন্য মহামূল্যবান। সেন্ট্রাল মিডফিল্ড পজিশনে বেশির ভাগ ম্যাচ খেলার পরেও ৩২ গোল কিন্তু সাধারণ কোনো বিষয় নয়। গত মার্চে তাঁর ফ্রিকিকের গোলে বার্সেলোনা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে পেয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ এক জয়। ম্যাচ শেষে অ্যাটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনে বলেছিলেন, ‘এই ম্যাচে আমরা যদি মেসিকে অ্যাটলেটিকোর জার্সি পড়িয়ে মাঠে নামিয়ে দিতে পারতাম। তাহলে অবশ্যই ম্যাচটা আমরা জিততাম।’ এবারের লা লিগায় সিমিওনের কথাটা ছিল বার্সার প্রতিপক্ষ অনেক দলের কোচেরই মনের কথা।

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা
২২টা বছর বার্সেলোনায় কাটিয়ে গত শুক্রবারই ন্যু ক্যাম্পকে বিদায় বলে দিয়েছেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। কিন্তু এবারের মৌসুমে মাঠের লড়াইয়ে ইনিয়েস্তা কিন্তু দলের মূল চালিকাশক্তি হিসেবেই কাজ করেছেন। কোচ এরনেস্তো ভালভার্দে এবারের মৌসুমে ইনিয়েস্তাকে খেলিয়েছেন খুব হিসেব করেই। কিন্তু এর মধ্যেও ইনিয়েস্তা যতক্ষণ মাঠে ছিলেন বার্সেলোনার ইঞ্জিন রুমের চাবিটা তাঁর হাতেই ছিল। গোটা দলকে খেলিয়েছেন তিনি। মেসির দায়িত্ব অনেকটাই ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন। বার্সা সভাপতি জোসেপ বার্তেমেউ তো বলেই দিয়েছেন, ‘ইনিয়েস্তা হচ্ছে একটা যুগের প্রতিচ্ছবি।’ কোপা ডেল রে আর লা লিগা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে ইনিয়েস্তা বার্সায় নিজের শেষ মৌসুমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগামী দিনগুলোতে তাঁকে কতটা মিস করতে যাচ্ছে বার্সা।

মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগেন
এবারের মৌসুমটা বার্সেলোনার জন্য ছিল একটু অন্যরকমই। গোটা মৌসুমজুড়ে তাদের প্রাধান্যের মূল চাবিকাঠি কিন্তু চিরায়তভাবে দলের আক্রমণভাগের দখলে ছিল না। বরং রক্ষণে তারা ছিল অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় অনেক বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ। তাদের রক্ষণ-শৃঙ্খলা আর চাপের মুখে ভেঙে না পড়ার এই অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা ছিল গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগেন। এই মৌসুমে সবচেয়ে কম গোল হজম করা দল দুটির একটি বার্সা। এই তালিকায় শীর্ষে আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এর পরপরই বার্সেলোনার অবস্থান। ৩৪ ম্যাচ খেলে ১৮টিতেই কোনো গোল খাননি জার্মান এই গোলরক্ষক। এই মৌসুমে তিনি নিজেকে দারুণভাবে প্রমাণ করেছেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক তো টের স্টেগেনই।