হরলান্ডকে আনছে না, মেসিকেই রাখছে বার্সা

শেষ পর্যন্ত হয়ত হরলান্ডকে দলে টানার চেয়ে মেসিকে রেখে দেওয়াতেই মনোযোগ দেবে বার্সেলোনা।ছবি: টুইটার

যে বার্সেলোনা কয়েক মাস আগেও দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কায় ছিল, জর্জরিত ছিল লাখো মিলিয়ন ইউরোর ঋণে, তারাই এখন নতুন সভাপতির অধীনে বড় স্বপ্ন দেখছে। তারা পেতে চায় আর্লিং হরলান্ডকে।

নরওয়ের এই তারকা ফুটবল বিশ্বের নতুন সেনসেশন—এটা সবাই জানেন। তাঁর পেছনে এখন ছুটছে ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবগুলো।

কিন্তু হুয়ান লাপোর্তা বার্সেলোনার সভাপতি নির্বাচিত হয়েই সমর্থকদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, হরলান্ডকে বার্সার জার্সিতে দেখার। যেভাবেই হোক, টাকাপয়সা জোগাড় করে এ মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকারকে দলে আনবেনই তিনি।

এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে, ততই যেন বাস্তবতাটা বুঝতে পারছে বার্সেলোনা। তারা বুঝছে, করোনাকালে আর্থিক টানাটানির মধ্যে হরলান্ডকে নেওয়ার সামর্থ্য তাদের হয়তো নেই।

এ ছাড়া মেসির চুক্তি নবায়নের বিষয়টাও আছে। চুক্তি নবায়ন না করলে আসছে জুনে ক্লাব ছাড়ার ‘ছাড়পত্র’ পেয়ে যাবেন দলের অধিনায়ক। মেসির চুক্তি নবায়ন করা মানে আর্থিকভাবে বেশ বড় অঙ্কের আরেকটা ধাক্কা।

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের স্ট্রাইকার আর্লিং হরলান্ড।
ছবি: এএফপি

স্বাভাবিক অবস্থাতেই যেকোনো ক্লাবের এমন বড় বড় দুটি আর্থিক খরচ একসঙ্গে মেটানো কঠিন, আর এখন তো এক বৈশ্বিক অতিমারির সময়। সঙ্গে হাজারো ধারদেনার বিষয়টাও আছে। চাইলেই তো আর বার্সেলোনা অনেক কিছু করতে পারবে না!

এ ব্যাপারটা মাথায় রেখেই নির্ভরযোগ্য স্প্যানিশ সাংবাদিক জাভি তোরেস স্প্যানিশ টেলিভিশন চ্যানেল টিভিথ্রিকে জানিয়েছেন, দুটি নয়, একটি কাজই করতে পারবে বার্সেলোনা।

আর সে ক্ষেত্রে হরলান্ড নয়, নিজেদের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম খেলোয়াড় মেসিকেই প্রাধান্য দেবে তারা। পরে নিজে টুইট করেও ব্যাপারটা পরিষ্কার করেছেন তোরেস, ‘বার্সেলোনা হরলান্ডকে দলে আনার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে। কারণ একের পর এক ধারে জর্জরিত ক্লাবটার পক্ষে শুধু একটা বড় আর্থিক কাজই করা সম্ভব। তাই তারা আগামী মৌসুমে মেসির চুক্তি নবায়নের বিষয়টাকে প্রাধান্য দিয়েছে।’

জাভির টুইট থেকে পরিষ্কার, এই মৌসুমে না পারলেও আগামী মৌসুমে হরলান্ডকে পাওয়ার জন্য আবারও চেষ্টা করবে তারা। কিন্তু এর মধ্যে হরলান্ড যে অন্য কোনো ক্লাবে যোগ দেবেন না, তার কী নিশ্চয়তা? যেখানে এর মধ্যেই ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবগুলো তাঁকে পেতে ভালোই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন বার্সেলোনা কী করে, এটাই দেখার বিষয়!