মেসি বার্সা না ছাড়ায় খুশি ফিফা সভাপতি

মেসিকে বার্সেলোনাতেই দেখে ভালো লাগছে ইনফান্তিনোর।ফাইল ছবি রয়টার্স

ফিফা প্রেসিডেন্ট তিনি। বিশ্ব ফুটবলের সব খুঁটিনাটি নিয়ে ভাবতে হয় জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে। ইউরোপের শীর্ষ লিগের খোঁজখবর তাঁকে রাখতে হয় আবার চোখ বুলাতে হয় বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের ২১০-এ থাকা দেশটির ফুটবল লিগেও। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। জৈব নিরাপত্তা, খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ঝুঁকি, মাঠে দর্শক ফেরা—তাঁকে ব্যস্ত রাখছে সবকিছু। কিন্তু এতটা ব্যস্তও নন যে গত কিছুদিনে ফুটবল বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেওয়া খবরটি নিয়ে দুকথা বলার সময় হবে না।

গত ২৫ আগস্ট বার্সেলোনা ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। একদিকে মেসি ক্লাব ছাড়তে চেয়েছেন, ওদিকে ক্লাবও নাছোড়বান্দা হয়ে তাঁকে মুফতে ছাড়তে রাজি হয়নি। ৭০ কোটি বাই আউট ক্লজ নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আর্থিক সংগতির নীতি মেনে কোনো ক্লাবের পক্ষেই এত বড় দলবদলের অঙ্ক খরচ করা সম্ভব নয়। ১০ দিন ধরে চলা সে নাটকের শেষে মেসিকে হাল ছেড়ে দিতে হয়েছে। আদালতে যাওয়া ছাড়া দলবদল সম্ভব নয় দেখে আর শৈশবের ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক এভাবে শেষ করতে চাননি।

মেসি অন্তত আরও এক বছর বার্সেলোনায় থাকার কথা জানানোর পর প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেছে। এর মধ্যেই অনুশীলনেও ফিরেছেন। দলের সবার সঙ্গে হাসিমুখে অনুশীলনও করছেন। তবু এ সংক্রান্ত আলোচনা থামেনি। ইতালিতে গ্যালারিতে দর্শক ফেরানোর প্রসঙ্গে এক আলোচনায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন ইনফান্তিনো। করোনার এ সময়টায় দর্শক ফেরানোর মতো জটিল বিষয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের আগ্রহ তো আর শুধু একটি বিষয়ে আটকে নেই। তাই ফিফা সভাপতির কাছেও প্রশ্ন রাখা হয়েছিল মেসির দল বদলানোর ইচ্ছে নিয়ে।

অনিচ্ছা সত্ত্বেও বার্সেলোনায় রয়ে গেছেন মেসি। এ সিদ্ধান্তে অবশ্য বেশ খুশি ইনফান্তিনো। আপাতত বার্সেলোনার জার্সিতেই দেখতে চান আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে, ‘মেসি অবশ্যই দুর্দান্ত এক খেলোয়াড়। খেলোয়াড়ের চেয়েও বেশি কিছু। তিনি অনেক, অনেক বড় এক কিংবদন্তি এবং বার্সেলোনা তাঁর ক্লাব। আমার মনে হয় শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষ এমন এক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যাতে তারা সন্তুষ্ট। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।’

মেসিকে নিয়ে কথা বলতে গিয়েই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রসঙ্গ চলে এল। সুইডেনের বিপক্ষে পরশু দুই গোল করে মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের সেঞ্চুরি করেছেন রোনালদো। সুযোগ পেয়ে তাই পর্তুগালের অধিনায়কের স্তুতিও শুনিয়ে দিলেন, ‘এ প্রসঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে অভিনন্দন জানানোর সুযোগও মিলল আমার। দেশের হয়ে ১০০ এবং ১০১তম গোল করেছেন, ইউরোপে সর্বোচ্চ।’

অবশ্য আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আগেই রোনালদোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইনফান্তিনো। প্রথম ইউরোপিয়ান হিসেবে এক শ গোল করার পরই ফিফা সভাপতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন বার্তা পেয়েছিলেন রোনালদো, ‘অভিনন্দন, ক্রিস্টিয়ানো! জাতীয় দলের হয়ে এক শর বেশি গোল! আপনার মতো বিশ্ব ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তির অসাধারণ এক রেকর্ড। আশা করি সামনাসামনিই অভিনন্দন জানাতে পারব। শুভকামনা।’