মেসিকে ধরে ফেললেন রোনালদো

চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদো নামবেন, আর গোল হবে না?ছবি: রয়টার্স

লিওনেল মেসি কি গত রাতে টিভির সামনে বসেছিলেন?

দিনামো কিয়েভের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের আপাত অগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের সবচেয়ে বড় তারকাটিকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য স্কোয়াডেই রাখেননি কোচ রোনাল্ড কোমান। খেলা নেই, বেঞ্চেও থাকতে হচ্ছে না, এমন পরিস্থিতিতে ঘরে বসে টিভির সামনে সতীর্থদের খেলা দেখবেন মেসি, এটাই স্বাভাবিক। মেসি ঘরে বসে থাকলেও ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী’ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সে সুযোগ হয়নি; বরং করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম দুই ম্যাচে না খেলা রোনালদো গত রাতেই প্রথম নেমেছিলেন এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে, একই সময়ে। নিজেদের খেলা দেখতে দেখতে চ্যানেল ঘুরিয়ে মেসির কি রোনালদোর খেলা দেখার অবসর হয়েছিল? যদি হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো মনে মনে প্রার্থনা করছিলেন, রোনালদো যেন গোল না করেন! গোল করলে যে মেসিকে এক জায়গায় ছুঁয়ে ফেলবেন রোনালদো!

রোনালদোর গোল না পাওয়ার জন্য মেসি প্রার্থনা করেছিলেন কি না, জানা যায়নি। তবে মেসি প্রার্থনা করুন আর না-ই করুন, রোনালদো গোল পেয়েছেন ঠিকই। আর গোল করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে ছুঁয়ে ফেলেছেন এক জায়গায়—চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে খেলে রোনালদোর গোল করা হয়ে গেল ৭০টি। ঘরের মাঠে একইসংখ্যক গোল আছে মেসিরও। আর এই দুজনের চেয়ে বেশি গোল আর কারও নেই ঘরের মাঠে। চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে গোল করার দিক দিয়ে দুজনেই এখন সমানে সমান।

চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে মেসির গোলও ৭০টি।
ছবি: রয়টার্স

ফেরেনৎভারোসের বিপক্ষে প্রথমে রোনালদোরা অবশ্য পিছিয়েই পড়েন শুরুতে। ৩৫ মিনিটে রোনালদোর দুর্দান্ত এক গোলে ম্যাচে আসে সমতা। হুয়ান কুয়াদ্রাদোর পাস থেকে প্রথম স্পর্শে প্রতিপক্ষ দুজনের মাঝ দিয়ে বল বের করে বাঁ পায়ের শটে জালে বল জড়িয়েছেন রোনালদো। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই ম্যাচ খেলে এটিই তাঁর প্রথম গোল। আর এবারের মৌসুমে ৬ ম্যাচে ৯ গোল—সব মিলিয়ে ২০২০ সালে ৩৬ ম্যাচে ৩৫ বছর বয়সী পর্তুগিজের গোল হলো ৩৭টি! আর এই গোলেই চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে ৭০টা গোল করলেন এই পর্তুগিজ তারকা। সব মিলিয়ে এই প্রতিযোগিতায় ১৭২ ম্যাচ খেলে ১৩১ গোল করেছেন রোনালদো। বাকি ৬১টা গোল প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে করে এসেছেন।

পরে আলভারো মোরাতার গোলে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে জুভেন্টাস। নিশ্চিত করেছে পরের রাউন্ডে ওঠাও।