মেসিকে নিয়ে ‘ভুয়া’ খবরে চটলেন তাঁর বাবা

বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসিছবি: এএফপি

লিওনেল মেসি গত আগস্টে বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিলেন। নানা জটিলতায় এরপর সিদ্ধান্তটি থেকে সরেও আসেন। তবু গুঞ্জন থামেনি। এ মৌসুম শেষে মেসি বার্সায় না থাকলে কোথায় যেতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে তখন থেকেই।

ম্যানচেস্টার সিটি এ পিএসজির নামই উচ্চারিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি জানালেন, পিএসজি ঘিরে যে গুঞ্জন চলছে সেটি ভুয়া খবর।

মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি
ছবি: টুইটার

সিটিকে ঘিরেই কথা বেশি হচ্ছে। ইংলিশ ক্লাবটির কোচ পেপ গার্দিওলা বার্সায় ছিলেন মেসির সাবেক গুরু। কাতালান ক্লাবটিতে চলতি মৌসুমের পরই বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে আর্জেন্টাইন তারকার। তারপর মেসি বার্সায় থাকতে না চাইলে তাঁর সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে সিটি—এমন গুঞ্জন ভাসছে ইউরোপের দলবদলের বাজারে।

সংবাদমাধ্যম ‘ইএসপিএন’ এ গুঞ্জনে পিএসজির নামও জুড়ে দিয়েছিল। মেসির বাবার সঙ্গে নাকি এ নিয়ে ফরাসি ক্লাবটির যোগাযোগও হয়েছে, এমন তথ্য জানিয়েছিল ইএসপিএন। অর্থাৎ মেসির দলবদলের ব্যাপারে পিএসজির সঙ্গে হোর্হে মেসির কথা হয়েছে—এ খবরটা তারা প্রকাশ করে জানিয়েছিল দর-কষাকষি হতে পারে আগামী জানুয়ারিতে।

কিন্তু হোর্হে মেসি এমন তথ্য পুরোপুরি অস্বীকার করলেন। শুধু অস্বীকার করাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বহুল ব্যবহৃত একটি কথা জুড়ে দিয়ে আর্জেন্টাইন তারকার পিএসজিতে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন হোর্হে মেসি।

ইনস্টাগ্রামে ইএসপিএনের সেই খবরের স্ক্রিনশট জুড়ে দিয়ে ওপরে হোর্হে মেসি লিখেছেন, ‘(খবর) বানানো থামাও। ভুয়া খবর!’ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামতে মেসি এখন তাঁর দেশে জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন।

বাবার সঙ্গে মেসি। তাঁর ক্যারিয়ারের অনেক বিষয় সামাল দিয়ে থাকেন হোর্হে মেসি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বার্সা ৮ গোল হজমের পর ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মেসি। বার্সার তৎকালীন সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ তখন ‘রিলিজ ক্লজ’-এর মারপ্যাঁচ দেখিয়ে মেসিকে ধরে রাখায় চেষ্টায় সফল হন। এক সাক্ষাৎকারে মেসি বার্সায় থেকে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান।

তবে সেটি শুধু এ মৌসুমের জন্য কি না, তা খোলাসা করে বলেননি বার্সা তারকা। তখন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, বার্তোমেউ সভাপতি পদে না থাকলে বার্সায় থেকে যেতে পারেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। বার্তোমেউ কিছুদিন আগে সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান।