মেসিদের কাছে গুরুকে হারিয়ে হতাশ ফন ডাইকরা

নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের কোচের চাকরি ছেড়েই বার্সার দায়িত্বে রোনাল্ড কোম্যানছবি: এএফপি

কিকে সেতিয়েনের জায়গায় বার্সার কোচ হয়েছেন সাবেক ডাচ তারকা রোনাল্ড কোম্যান। কোম্যান যে একদম বসে ছিলেন, তা নয়। নেদারল্যান্ডসের জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। কোচ ছিলেন ফন ডাইক, ডি লিট, ভাইনালদাম, ডি ইয়ং, ডিপাইদের। আগে বার্সার হয়ে খেলতেন, ফলে সাবেক ক্লাবের প্রতি একটা দুর্বলতা ছিলই। তাই পুরোনো ক্লাব যখন ডাকল, সাড়া না দিয়ে পারেননি। কিন্তু ইউরোর ঠিক এক বছর আগে কোচের চলে যাওয়াটা কষ্টই দিয়েছে ডাচ অধিনায়ক ও লিভারপুল তারকা ভার্জিল ফন ডাইককে।

কোম্যানের মতো অসাধারণ একজন কোচকে হারিয়ে শুধু ফন ডাইকই নয়, কষ্ট হচ্ছে গোটা স্কোয়াডের। এমনটাই জানিয়েছেন এই লিভারপুল তারকা, ‘সত্যি বলতে কী, তাঁর মতো অসাধারণ এক কোচকে দায়িত্ব ছাড়তে দেখে আমরা সবাই বেশ হতাশ হয়েছিলাম। তবে তাঁর সিদ্ধান্তকে আমরা সবাই সমর্থন জানাই। আপনি চাইলে স্কোয়াডের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন, সবাই একই কথা বলবে। বার্সার ম্যানেজার হওয়াটা তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো ছিল।’

ফন ডাইককে হতাশ করেছে কোম্যানের চলে যাওয়া।
ছবি: রয়টার্স

তবে ফন ডাইক এটাও বোঝেন, স্বপ্নের ক্লাব ডাক দিলে সাড়া না দেওয়াটা কত কষ্টের, ‘এখন এমন একটা সময়ের মধ্যে বাস করছি আমরা, যেখানে কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। করোনা এসে সবকিছু অনিশ্চিত করে দিয়েছে। ইউরোও হচ্ছে না এ বছর। তাই এমন কোনো সুযোগ চলে আসলে এড়ানো যায় না। এটা আমরা বুঝি।’

সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ফন ডাইককে জানিয়েছিলেন কোম্যান, ‘উনি সিদ্ধান্ত নিয়ে সবার আগে আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করি নি। কারণ আমি জানি এটা তাঁর অনেক বড় এক স্বপ্ন ছিল। অনেক দিন থেকেই। কেউ ভাবেনি ব্যাপারটা এত তাড়াতাড়ি ঘটে যাবে, তবে আমরা সবাই তাঁর জন্য অনেক খুশি। তাঁকে ছাড়াই এখন আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। উনি এর আগে দুবার বার্সেলোনাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তাই তৃতীয়বার সুযোগ আসার পর তিনি আর না করতে পারেননি। আমাদের জন্য ব্যাপারটা কষ্টের, একটু হতাশার। তবে রোনাল্ডের জন্য আমাদের খুশি হতেই হবে।’

ইউরোর আগে কোম্যানের চলে যাওয়া নেদারল্যান্ডস দলের জন্য ধাক্কাই
ছবি: রয়টার্স

এর আগে কিকে সেতিয়েন ও আর্নেস্তো ভালভার্দেকে নিয়োগ দেওয়ার আগেও কোম্যানকে দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল বার্সেলোনা। কোম্যানই তখন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পছন্দের ক্লাবকে। এবার আর পারেননি। কোম্যানের পা থেকে আসা গোলেই ১৯৯২ সালে বার্সা জিতেছিল তাদের ইতিহাসের প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ। সেবার সাম্পদোরিয়াকে হারিয়েছিল তারা।

কোম্যানের জায়গায় নেদারল্যান্ডসের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারী কোচ ডোয়াইট লোদেওয়েগেসকে।