মেসিদের নতুন জার্সিতে ভাগ্য বদলের আশা
>আগামী মৌসুমে মেসি-সুয়ারেজরা কোন ডিজাইনের জার্সি পরবেন, তা জানিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা
যথারীতি ঐতিহ্যবাহী নীল-মেরুন রঙের সমন্বয়। নীল-মেরুন দাগগুলোকে আবার আলাদা করেছে হলুদ সরু দাগ। গোলগলা জার্সির গলার দিকেও হলুদ রঙের বর্ডার। বুকের মধ্যে জার্সি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকি, প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাকুতেন ও নিজেদের লোগো।
মোটামুটি এই হলো বার্সেলোনার নতুন জার্সি। ঘরের মাঠে আগামী মৌসুমে এই জার্সি পরেই খেলবেন মেসি-সুয়ারেজরা। চলতি মৌসুমে চিরাচরিত নীল-মেরুন দাগগুলো দেখা যায়নি জার্সিতে, সে জায়গায় একই রঙের চেকের ডিজাইন হাজির করেছিল নাইকি। এবার আর জার্সি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যায়নি তাঁরা। ফিরে এসেছে ঐতিহ্যবাহী নীল–মেরুন সোজা দাগে।
চলতি মৌসুমের জার্সির সঙ্গে নতুন জার্সির পার্থক্য আছে আরেক জায়গাতেও। নীল-মেরুন দাগগুলোর মধ্যে হলুদ দাগগুলোই সেই পার্থক্য। গতকাল নতুন এই জার্সি পরে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছেন লিওনেল মেসি, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, সার্জি রবার্তো, সার্জিও বুসকেটস, জেরার্ড পিকে, আতোয়াঁন গ্রিজমানসহ আরও অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ছবিগুলো প্রকাশ করেছে বার্সেলোনা।
অনেকটা এ রকম জার্সি পরেই ২০১০-১১ মৌসুমে ঘরের মাঠে খেলত বার্সেলোনা। সেবার ট্রেবল জিতেছিলেন মেসিরা। ঘরে তুলেছিলেন লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও সুপারকোপার শিরোপা। বার্সেলোনার ইতিহাসের অন্যতম সেরা মৌসুম মানা হয় ২০১০-১১ কেই। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের মতো মানুষ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে হেরে বলেছিলেন, ওই বার্সার মতো শক্ত প্রতিপক্ষ ক্যারিয়ারে কখনও পাননি তিনি।
এক দশক আগের সেই ডিজাইন ফিরিয়ে এনে বার্সা কি নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারবে? দেখাই যাক!