মেসির পথ ধরে পিএসজিতে বার্সার আরেক বিশ্বসেরা তারকা
লিওনেল মেসির সঙ্গে তাঁর মিলের শেষ নেই।
মেসিও অন্য দেশ থেকে বার্সেলোনায় এসে সবার মন জিতে নিয়েছিলেন, তিনিও তা–ই। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে মেসি নিজেকে আক্রমণভাগের মধ্যমণি করে নিয়েছিলেন, হয়েছিলেন ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়, তাঁর ক্ষেত্রেও সেটা বলা যায়। মেসির মতো তিনিও বার্সেলোনাকে এনে দিয়েছেন লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও কাপ শিরোপার স্বাদ।
এখানেই মেসির সঙ্গে তাঁর মিল শেষ হচ্ছে না। তবে এবার মেসির পথ ধরে তিনি যা করতে যাচ্ছেন, সেটা হাজারো বার্সেলোনা ভক্তের মন ভেঙে দেবে নিশ্চিত। বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর মেসি সজল চোখে পাড়ি জমিয়েছিলেন পিএসজিতে, একই রাস্তায় এবার হাঁটছেন তিনিও।
বলা হচ্ছে লিয়েকে মার্তেন্সের কথা। বার্সেলোনার নারী দলে এককালে সবচেয়ে বড় তারকা মার্তেন্সই ছিলেন। ২০১৭ সালে সুইডিশ ক্লাব রোজেনগার্ড থেকে বার্সেলোনায় নাম লিখিয়েছিলেন এই ডাচ ফরোয়ার্ড, প্রথম মৌসুমেই জিতে নিয়েছিলেন ফিফা বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়ের খেতাব।
পাঁচ বছর থাকার পর অবশেষে তাঁর মনে হয়েছে, বার্সেলোনা-অধ্যায়ে ইতি টানার সময় চলে এসেছে।
আলেক্সিয়া পুতেয়াস, ইয়ানা ফের্নান্দেজ কিংবা জেনিফার এর্মোসোরা এখন বার্সেলোনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, এমনটা ভেবেই হয়তো বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করছেন না এই ডাচ ফরোয়ার্ড। নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে পাড়ি জমাচ্ছেন পিএসজিতে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর মধ্যেই বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই ২৯ বছর বয়সী, ‘এই অসাধারণ শহর আর দুর্দান্ত ক্লাবে পাঁচ বছর কাটানোর পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার। আমি বার্সেলোনায় যখন এসেছিলাম, তখন উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পের নেতা বানিয়ে আমাকে আনা হয়েছিল। ৫ বছর আগে আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা শুরু করেছিলাম, সে লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পেরেছি বলে মনে করি। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা থেকে শুরু করে বার্সার হয়ে ফিফা বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় হয়েছি। গত পাঁচ বছরে বার্সার খেলোয়াড় হতে পারাকেই আমি আমার সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করি। ক্লাব, কর্মকর্তা, কোচ, পরিবার, সমর্থক—সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে এ অবস্থানে আনার জন্য।’
বার্সেলোনার জার্সি গায়ে ১৫৬ ম্যাচে ৭৩ গোল করেছেন মার্তেন্স। জিতেছেন তিনটি লিগ, চারটি কাপ ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা।