মেসির পায়ে চুমু খাবেন তিনি, যদি...

মেসি কি এমএলএসে যাবেন?ছবি : রয়টার্স

মেসি কি বার্সায় থাকবেন? নাকি মৌসুম শেষে পাড়ি জমাবেন অন্য কোথাও?

এক বছর ধরে ফুটবলপাড়া সরগরম এই এক প্রশ্নে। বার্সার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করে মেসি আরও বার্সা সমর্থকদের বুকের ধুকপুকানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। চুক্তি না বাড়ালে এই মৌসুম শেষেই মেসি পাড়ি জমাবেন অন্য কোথাও। আর মেসির সম্ভাব্য গন্তব্যর জায়গায় উঠে এসেছে ফরাসি লিগের পিএসজি, ইংলিশ লিগের ম্যানচেস্টার সিটি, ইতালিয়ান লিগের জুভেন্টাস ও ইন্টার, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএসের বেশ কিছু ক্লাবের নামও।

মেসি এখনো যে ফর্মে আছেন, বার্সা যদি ছাড়তেই হয়, ইউরোপ ছেড়ে কোথাও যে যাবেন না, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু আশা করতে ক্ষতি কী? এমএলএসের এফসি ডালাসে খেলা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ফ্রাঙ্কো হারা যেমন আশায় বুক বেঁধে বসে আছেন, তাঁর দেশের সেরা খেলোয়াড় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রে; তাঁর সঙ্গে খেলতে। এক দলে না হোক, এক লিগে অন্তত!

ফ্রাঙ্কো হারা।
ছবি : টুইটার

মেসির সঙ্গে এক লিগে খেলার স্বপ্নে হারা এতটাই বিভোর, মেসি যুক্তরাষ্ট্রে গেলে অদ্ভুত একটা কাণ্ড করতেও গায়ে বাধবে না তাঁর, ‘মেসি যদি এমএলএসে খেলতে আসেন, আমি তাঁর পায়ে চুমু খাব। এর আগে তাঁর মতো খেলোয়াড়দের সঙ্গে একই পিচে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। কিন্তু তাই বলে মেসির সঙ্গে একই ম্যাচের খেলার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ আলাদা হওয়ার কথা। এর আগে এমএলএস ইব্রাহিমোভিচ, হিগুয়েইনের মতো খেলোয়াড়কে দলে এনেছে। আশা করা যায়, মেসিও তাঁদের পথ ধরে এই দেশে আসবেন।’

প্রশ্ন উঠতে পারে, কে এই হারা। ডিয়েগো ম্যারাডোনার আমলে আর্জেন্টিনা দলে সুযোগ পেয়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। কোস্টারিকার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে সুযোগ পেয়েই রাতারাতি নায়ক বনে গিয়েছিলেন। সে ম্যাচটা ৩-২ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা, জয়সূচক গোলটা এসেছিল এই হারার পা থেকেই। জ্যামাইকার বিপক্ষেও একটা ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনার মূল দলের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন চারবার। গোল ওই একটাই।

ক্লাব জীবনে পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকায় আলো ছড়িয়ে স্প্যানিশ ক্লাব গ্রানাদায় নাম লেখালেও ইউরোপে হারার সাফল্য অতটুকুই। গ্রানাদায় তেমন ফর্ম না দেখাতে পেরে ফিরে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনায়। খেলেছেন সান লরেঞ্জো, এস্তুদিয়ান্তেসের মতো ক্লাবের হয়ে। পরে মেক্সিকোর ক্লাব পাচুকায় পাঁচ বছর খেলে নিজেকে ফিরে পেয়েছিলেন, সেখান থেকেই নাম লিখিয়েছেন ডালাসে।

মেসি যুক্তরাষ্ট্রে গেলে তাঁর জীবনেও বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন হারা। যুক্তরাষ্ট্রে যেহেতু ফুটবল তেমন একটা জনপ্রিয় খেলা নয়, সেহেতু মেসি ইউরোপের মতো অত বেশি মনোযোগ কাড়বেন না লোকজনের, যা তাঁকে একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো নির্ঝঞ্ঝাট জীবন যাপন করতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন হারা, ‘মেসি কিংবা ক্রিস্টিয়ানো, দুজনের জন্যই কথাটা প্রযোজ্য। ফুটবলের বাইরেও যে একটা জীবন আছে, সে জীবনটা তাঁরা এখানে এলে ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন। স্বাভাবিক মানুষের মতো। যেমন আমরা চাইলেই বাইরে খেতে যেতে পারি কোনো রেস্টুরেন্টে, সুপার মার্কেটে জিনিসপত্র কিনতে যেতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র এমন নির্ঝঞ্ঝাট জীবনই দেবে আপনাকে।’

মেসি এখন হারার কথা শোনেন কি না, দেখা যাক!