মেসির পিএসজির বিপক্ষে হারের বদলা নিল গার্দিওলার সিটি

রাতটা হতাশায় কেটেছে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদেরছবি : রয়টার্স

আক্ষরিক অর্থেই নিজেদের দাপট দেখাল ম্যানচেস্টার সিটি। লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে-সমৃদ্ধ আক্রমণভাগকে নিশ্চুপ করে দিয়ে নিজেদের মাঠে জিতল ২-১ গোলে। সিটির হয়ে গোল পেয়েছেন ইংলিশ উইঙ্গার রাহিম স্টার্লিং ও ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার গাব্রিয়েল জেসুস। পিএসজির হয়ে একমাত্র গোলটা এমবাপ্পের।

এই জয়ের ফলে নিশ্চিত হয়ে গেল, মেসির পিএসজি নয়, সিটিই গ্রুপের শীর্ষ দল হয়ে পাড়ি জমাচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ডে।

দুই গোল করেছে সিটি
ছবি : রয়টার্স

গোটা ম্যাচেই একরকম ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেছে পিএসজি। দলে তারকা থাকলেই যে শুধু হয় না, দলের মধ্যে একটা যে রসায়নও থাকতে হয়, সেটা যেন বারবার মনে পড়েছে মেসিদের খেলা দেখে। পিএসজির হয়ে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ীর সবাই খেললেও ছিলেন না মার্কো ভেরাত্তির মতো মিডফিল্ডার। ওদিকে সিটি পায়নি ফিল ফোডেন ও জ্যাক গ্রিলিশের মতো তারকাদের।

লেফটব্যাক ওলেসান্দর জিনচেঙ্কোকে মাঝমাঠে খেলিয়ে চমক দেখিয়েছেন গার্দিওলা। আক্রমণভাগে মাহরেজের সঙ্গে খেলেছেন বের্নার্দো সিলভা আর রাহিম স্টার্লিং।

প্রথমে গোল করেও এগিয়ে থাকতে পারেনি পিএসজি
ছবি : রয়টার্স

প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই গোল করতে পারেনি। তবে ৪৯ মিনিটে গোলের গেরো খোলেন পিএসজির এমবাপ্পে। পিছিয়ে পড়েও আশা হারায়নি সিটি। ৭৬ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল করে সিটিকে ম্যাচে ফেরান স্টার্লিং আর বিকল্প হিসেবে মাঠে নামা স্ট্রাইকার গাব্রিয়েল জেসুস। ইংলিশ ফুটবলারদের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে এই নিয়ে ২৩ গোল হয়ে গেল রাহিম স্টার্লিংয়ের। তাঁর চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল পল স্কোলস আর ওয়েইন রুনির।

ওদিকে এই প্রতিযোগিতায় ১৯ গোল করে কিংবদন্তি রোনালদিনিওকে ছাড়িয়ে গেছেন জেসুস। চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদিনিওর গোলসংখ্যা ১৮। এই নিয়ে গোটা ক্যারিয়ারে মরিসিও পচেত্তিনোকে ১৩ বার হারালেন পেপ গার্দিওলা। এত বেশি অন্য কোনো ম্যানেজারকে হারাননি তিনি।