মেসির হতাশার রাতে উজ্জ্বল তাঁর আর্জেন্টিনা সতীর্থ

লাওতারোর গোল উদ্‌যাপনে সঙ্গী আশরাফ হাকিমি। উদ্‌যাপনটা ভিন্ন ঢংয়েই হলো।ছবি: রয়টার্স

ম্যাচ শেষে টেলিভিশন ক্যামেরায় ভেসে উঠল জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের চেহারা। এসি মিলানের সুইডিশ স্ট্রাইকার মোটেও হতাশা লুকাতে পারছিলেন না। ইতালিয়ান সিরি ‘আ’র  মিলান ডার্বিতে আজ এসি মিলানকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মিলান। জোড়া গোল করেছেন ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেজ। অন্য গোলটি বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকুর।

যে দিনে বার্সেলোনার হয়ে হতাশা উপহার পেয়েছেন মেসি, তাঁর বার্সেলোনা লিগে কাদিজের বিপক্ষে ড্র করেছে ১-১ গোলে, সে দিনেই ইতালিতে আলো ছড়ালেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে মেসির সতীর্থ লাওতারো।

চলতি মৌসুমটা দুর্দান্তই কাটছে মিলানের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। সেই ২০০৯-১০ মৌসুমের পর এবারই প্রথম এভাবে এই দুটি দল লিগ টেবিলের শীর্ষে পাশাপাশি অবস্থান করছে। আজ অবশ্য জিতে ইন্টারকে টপকে যাওয়ার দারুণ একটা সুযোগ ছিল এসি মিলানের। কিন্তু সেই সুযোগটা আর কাজে লাগাতে পারল কোথায়?

মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে একাই বক্সে ঢুকে লুকাকু বল পাঠিয়েছেন জালে।
ছবি: রয়টার্স

বরং আজকের ম্যাচটি জিতে শিরোপার দৌড়ে আরও এগিয়ে গেল ইন্টার মিলান। এসি মিলানের চেয়ে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে রইল দলটি। ২৩ ম্যাচে ১৬ জয়, ৫ ড্র ও ২ হারে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছে ইন্টার। সমান ম্যাচে ১৫ জয়, ৪ ড্র ও ৪ হারে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে এসি মিলান।

ম্যাচের ৫ মিনিটেই মার্তিনেজের গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার। ৫৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেই মার্তিনেজই।

এরপর ৬৬ মিনিটে রোমেলু লুকাকু প্রতি আক্রমণ থেকে করেন ম্যাচের শেষ গোল। মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে একাই বক্সে ঢুকে বল পাঠিয়েছেন জালে। এই গোলের মাধ্যমে একটা কীর্তিও গড়ে ফেলেন লুকাকু—১৯৫০ সালের পর এই প্রথম মিলান ডার্বিতে টানা চার ম্যাচে গোল পেলেন ইন্টারের কোনো খেলোয়াড়।

গোল শোধের চেষ্টায় অবশ্য মরিয়া ছিল এসি মিলান। দু–দুবার ইব্রাহিমোভিচের নিশ্চিত গোলের শট ঠেকিয়ে দেন ইন্টার গোলরক্ষক সামির হান্দানোভিচ। পুরো ম্যাচে এই স্লোভানিয়ান গোলরক্ষকের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।

গত জানুয়ারিতে কোপা ইতালিয়ার কোয়ার্টার ফাইনালে ডার্বির লড়াইয়ে মাঠে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইব্রাহিমোভিচ ও লুকাকু। ওই ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন ইব্রাহিমোভিচ। ওই ম্যাচেও জিতেছিল ইন্টার। আজ অবশ্য সেই বদলা নেওয়ার সুযোগ ছিল ম্যাচ জিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতাশা সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়েন তিনি।