মেসির ৭০ কোটির রিলিজ ক্লজ মিথ্যা?

জানা গেল মেসির ৭০ কোটি রিলিজ ক্লজের ব্যাপারটি এখন আর প্রযোজ্য নয়ছবি: এএফপি

বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তি শেষ হবে ২০২১ সালে। তার এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০২০ সালের ১০ জুনের মধ্যে মেসি যদি ক্লাব ছাড়তে চাইতেন, তাহলে বার্সেলোনা তাঁকে বিনা মূল্যে ছেড়ে দিত। কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে গেলে আগ্রহী ক্লাবকে ৭০ কোটি ইউরোর রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করে মেসিকে নিয়ে যেতে হবে।

মোটামুটি এটাই সবাই জানত। মেসি আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনাকে নিজের ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছের কথা জানালেও বার্সা বারবার বুঝিয়েছে, ক্লাব ছাড়তে চাইলে আগ্রহী ক্লাবকে ওই বিশাল পরিমাণ ট্রান্সফার ফ্রি পরিশোধ করতে হবে। এবং এই নিয়েই আদালতে মুখোমুখি হতে পারে দুই পক্ষ। তবে এখন স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘কাদেনা সের’ ও ‘এল লারগুয়েরো’ যা জানাচ্ছে, তাতে চোখ কপালে উঠে যেতে বাধ্য। তাঁরা জানিয়েছে, মেসির চুক্তিতে ৭০ কোটি রিলিজ ক্লজের ধারাটা আছে ঠিকই, কিন্তু সেটা চুক্তির শেষ বছরের জন্য প্রযোজ্য নয়। সেটার মেয়াদ ২০১৯-২০ মৌসুমের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গিয়েছে।

এই বক্তব্যের সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করে টুইট করেছেন প্রখ্যাত স্প্যানিশ সাংবাদিক গিলেম বালেগও। বালেগ লিখেছেন, ‘কাহিনিতে আরেক চমকপ্রদ মোড়! এল লারগুয়েরো যা জানিয়েছে, তা সত্যি। মেসির চলমান চুক্তির শেষ বছরে (২০২০-২১ মৌসুম) ৭০ কোটি ইউরোর কোনো রিলিজ ক্লজ নেই। তার মেয়াদ ২০১৯-২০ মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ক্লাবের এটা মাথাতেই ছিল না? আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া করোনা টেস্টেও অংশ নেবে না মেসি।’

‘কাদেনা সের’ এর সাংবাদিক সিকে রদ্রিগেজ সবার আগে ফাঁস করেছেন খবরটা। প্রকাশিত খবরে সেটাই লিখেছেন তিনি। রদ্রিগেজ বলেছেন, ২০১৭ সালে মেসি বার্সার সঙ্গে তিন বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করে। অর্থাৎ ২০১৭-১৮, ২০১১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ মৌসুমের জন্য। এ তিন বছরের মধ্যে ক্লাব ছাড়তে চাইলে আগ্রহী ক্লাব বা মেসিকে ৭০ কোটি ইউরো পরিশোধ করতে হতো। তিন বছর শেষ হয়ে গেলে বাড়তি আরেক বছর চুক্তি বাড়ানোর সুযোগ থাকে, কিন্তু ওই এক বছরে ৭০ কোটির রিলিজ ক্লজটা থাকবে না।

রদ্রিগেজের কথা অনুযায়ী চুক্তির তিন বছর খেলে ফেলেছেন মেসি। বাড়তি এক বছর শুরু হবে আসন্ন মৌসুম থেকে। যে মৌসুমের জন্য কোনো রিলিজ ক্লজ নেই। সুপারস্পোর্ট ও বিইনস্পোর্টসের সাংবাদিক আদ্রিয়ানো দেল মন্তেও টুইট করে রদ্রিগেজের সঙ্গে সম্মতি জানিয়েছেন।


মেসিকে পাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। পিএসজিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। দৌড়ে আছে জুভেন্টাস ও ইন্টার মিলানও।