রামোসের বিদায়ে মুখ খুললেন জিদান

রিয়াল মাদ্রিদে দ্বিতীয় মেয়াদে কোচের চাকরি ছাড়ার পর চুপ করে ছিলেন জিনেদিন জিদান। প্রস্থানের পর প্রিয় ক্লাব নিয়ে তাঁর মুখে কোনো কথা শোনা যায়নি। কার সের্হিও রামোসকে নিয়ে মুখ খুলেছেন ফরাসি কিংবদন্তি।

রামোসের সঙ্গে কাল আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬ বছরের সম্পর্কচ্ছেদ করে রিয়াল। আগের দিনই রিয়াল আনুষ্ঠানিকভাবে খবরটি জানিয়ে দিয়েছিল। কাল রামোস আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দেন রিয়ালের সঙ্গে অভিযাত্রার এখানেই শেষ।

রিয়ালে কোচ হিসেবে জিদানের দুই মেয়াদে তাঁর রক্ষণভাগ আগলে রাখার সঙ্গে নেতৃত্বও দিয়েছেন রামোস। টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের সঙ্গে দুবার লিগ জয়ের আনন্দে মেতেছেন দুজন। রিয়াল ছেড়ে রামোসের চলে যাওয়ার খবর প্রকাশ হওয়ার পর তাই আর চুপ করে থাকতে পারেননি জিদান। নিজের ইনস্টাগ্রামে তিনি কাল রামোসের সঙ্গে শিরোপা উদ্‌যাপনের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘কিংবদন্তি, তোমাকে খেলোয়াড় ও সতীর্থ হিসেবে পাওয়াটা ছিল অনেক আনন্দের ও সম্মানের। ইতিহাসের গ্রেট অধিনায়ক। সবকিছুর জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।’

রামোসের সঙ্গে জিদানের সম্পর্কটা নিবিড়। গত মাসে জিদান ক্লাবটির কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর রামোস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘জীবন ও পরিবার উপভোগ করুন, অনেক শুভকামনা।’ ২০০৫ সালে সেভিয়া ছেড়ে ১৯ বছর বয়সে রিয়ালে যোগ দেন রামোস। জিদান তত দিনে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগা জিতে রিয়ালেরও কিংবদন্তি। রামোসের সঙ্গে ২০০৫-০৬ মৌসুমে রিয়ালের জার্সিও ভাগ করে নিয়েছেন জিদান।

কাল রিয়াল থেকে বিদায়বেলায় ক্লাবটির প্রতি নিজের ভালোবাসা জানান ৩৫ বছর বয়সী রামোস। আবারও হয়তো অন্য পরিচয়ে সান্তিয়াগো বার্ন্যাবুতে ফেরার কথা বলেন তিনি। ভেজা চোখে রামোস বলেন, ‘এটা আমার জীবনের অনেক সুন্দর একটা সময়ের সমাপ্তি। এটাকে চূড়ান্ত বিদায় বলব না, বরং এটি সাময়িক বিদায়। কারণ, আগে হোক বা পরে, আমি ফিরব। আমি রিয়াল মাদ্রিদকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সমর্থকদের ধন্যবাদ দিতে চাই। বরাবর আমাকে তাঁদের চোখের মণি করে রেখেছেন তাঁরা। বার্নাব্যুতে দাঁড়িয়ে বিদায় বলতে পারলে ভালো লাগত। রিয়াল সব সময় আমার হৃদয়ে থাকবে।’