রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনে নিহত দুই ফুটবলার

ভিতালি সাপিলো (বাঁয়ে) ও দিমিত্রো মার্তিনেঙ্কোছবি: টুইটার

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা আছড়ে পড়ল খেলাধুলার দুনিয়ায়ও। পেশাদার ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ফিফপ্রো’ কাল টুইটে জানিয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের দুজন তরুণ ফুটবলার নিহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের বায়াথলন ফেডারেশনও তাঁদের এক অ্যাথলেটের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ২০ বছরে পা রাখতে যাওয়া ইউক্রেন যুব বায়ালথন দলে খেলা ইয়েভেন ম্যালিশভ সামরিক দায়িত্ব পালনের সময় নিহত হয়েছেন।

নিহত দুজন ফুটবলারও বয়সে তরুণ। ইউক্রেনের ক্লাব কারপাতি লেভিভের যুব দলে খেলা ২১ বছর বয়সী ভিতালি সাপিলো কিয়েভে ভয়াবহ যুদ্ধে মারা গেছেন। ২৫ বছর বয়সী অপেশাদার ফুটবলার দিমিত্রো মার্তিনেঙ্কো স্থানীয় ক্লাব এফসি গোস্তোমেলে খেলতেন।

কিয়েভের কাছে নিজ বাসায় রাশিয়ার বোমা হামলায় মার্তিনেঙ্কো ও তাঁর মা নিহত হন। ফিফপ্রোর টুইটে বলা হয়, ‘ইউক্রেনের তরুণ ফুটবলার ভিতালি সাপিলো ও দিমিত্রো মার্তিনেঙ্কোর পরিবার, বন্ধু ও সতীর্থদের পাশেই আছি আমরা। এ যুদ্ধে ফুটবলের প্রথম ক্ষতি। তাদের আত্মা শান্তিতে থাকুক।’

সাপিলোর মৃত্যুর বিষয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘কিয়েভ রক্ষা করতে গিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ তিনি শুক্রবার মারা গেছেন। তাঁর ক্লাবের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের নায়কের স্মৃতি সব সময় স্মরণে রাখব।’ মার্তিনেঙ্কো ও তাঁর মা মারা গেলেও বোনটি বেঁচে গেছেন। যদিও তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

ইউক্রেন যুব বায়াথলন দলের হয়ে ৯ ম্যাচ খেলা ম্যালিশভও কিয়েভে যুদ্ধে মারা গেছেন। সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে দুই বছর আগে ক্ষণস্থায়ীভাবে স্কিয়িং থেকে সরে দাঁড়ান ম্যালিশভ।

তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ইউক্রেনের বায়াথলন ফেডারেশন বিবৃতিতে বলেছে, ‘জন্মভূমি এবং তার বন্ধু ও পরিবারের প্রতি আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। চিরকালীন স্মৃতি হয়ে গেলেন ইয়েভেন ম্যালিশভ।’

রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর দেশটির বিভিন্ন অঙ্গনের ক্রীড়াবিদেরা যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদকে হারানো মলদোভার ক্লাব শেরিফ তিরাসপোলের কোচ ইউরি ভেরনিদুব যুদ্ধ করছেন দেশের জন্য। মুষ্টিযুদ্ধে হেভিওয়েট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওলেক্সান্দার ইউজেকও কিয়েভের সীমান্তে যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন।

পাউন্ড ফর পাউন্ড মুষ্টিযুদ্ধের তারকা ভাসিলি লোমাচেঙ্কোও অস্ত্র তুলে নিয়েছেন হাতে। মেশিনগান হাতে তাঁকে যুদ্ধে দেখা গেছে। ইউক্রেনের দুই তারকা মুষ্টিযোদ্ধা ওয়ালদিমির ও ভিতালি কিটিশেঙ্কোও যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন।