রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন পচেত্তিনো

টটেনহাম হটস্পার্সের সাবেক কোচ মরিচিও পচেত্তিনো।ছবি: টুইটার

গুঞ্জনটা উঠেছিল কিকে সেতিয়েন ছাঁটাই হওয়ার পর। বার্সেলোনার কোচ হতে পারেন মরিচিও পচেত্তিনো। সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল, আর্জেন্টাইন কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে কাতালান ক্লাবটি। পচেত্তিনো এত দিন পর জানালেন, বার্সার পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে এখন বেকার বসে থাকা পচেত্তিনোর লক্ষ্য কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ। মাদ্রিদের জায়ন্টদের কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন টটেনহাম হটস্পার্সকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তোলা এ কোচ।

টটেনহামকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তুলেছিলেন পচেত্তিনো।
ছবি: টুইটার

জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ বার্সা সভাপতি থাকতে কখনো লিওনেল মেসিদের কোচিং করানোর কথা ভাবেননি পচেত্তিনো। যদিও রোনাল্ড কোমান বার্সার কোচ হয়ে আসার আগে দৌড়ে তাঁর নামও ছিল। তখন সেই সম্ভাব্যতা নিয়েই স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র সঙ্গে কথা বলেছেন গত বছরের নভেম্বরে টটেনহামের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া এ কোচ। তিনি সোজাসাপ্টাই বলেছেন, ‘বার্সা থেকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব পাইনি। বার্তোমেউয়ের সঙ্গে কাজ করার কথাও ভাবিনি।’


সেতিয়েন ছাঁটাই হওয়ার পর বার্সা যখন কোচ খুঁজছে তখন ক্লাবটির টেকনিক্যাল সেক্রেটারি র‌্যামন প্লানেজের সঙ্গে পচেত্তিনোকে খেতে দেখেছিল সংবাদমাধ্যম। এরপরই চাউর হয় বার্সার কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে পচেত্তিনো। সে ঘটনারও ব্যাখ্যা দিলেন তিনি, ‘প্লানেজের সঙ্গে খেতে বসেছিলাম কারণ আমাদের বন্ধুত্ব অনেক দিনের। ২০০৯ সালে তিনি এস্পানিওলে সই করার পর থেকে।’ পচেত্তিনোর খেলোয়াড়ি জীবনের সিংহভাগ কেটেছে এস্পানিওলে। ২০০৯ সালে এস্পানিওলের কোচ হয়ে ফেরেন তিনি। প্লানেজ তখন ক্লাবটির ক্রীড়া পরিচালক।

এস্পানিওলের সঙ্গে কাতালান ডার্বির উত্তাপ রয়েছে বার্সার। একই শহরের ক্লাব হওয়ায় একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো থাকেই। পচেত্তিনো এস্পানিওলে খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানসিকতা থেকেই টটেনহামের কোচ থাকতে বার্সা কোচ হওয়ার সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন। ইংলিশ ক্লাবটির দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকেই বেকার বসে আছেন তিনি। এর মধ্যে তাঁর নাম জড়িয়ে বেশ কিছু ক্লাবের নাম উঠেছে। পিএসজি, ইন্টার মিলান ও জুভেন্টাস। কিন্তু তাঁর ভাগ্যে শিকে ছেড়েনি। জুভেন্টাস বেছে নিয়েছে আন্দ্রে পিরলোকে, পিএসজি আছে টমাস টুখেলের সঙ্গে আর ইন্টার আন্তোনিও কন্তের সঙ্গে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে এ তিনটি ক্লাব যে তাঁকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেয়নি সে কথাও বলেছেন তিনি, ‘ইন্টার, জুভেন্টাস, পিএসজির কাছ থেকে প্রস্তাব পাইনি। বেনফিকা ও মোনাকোর কাছ থেকে পেয়েছি, লুকোনোর কিছু নেই।’ ২০১৮ সালে রিয়ালের কোচ হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পচেত্তিনো। টটেনহামের সঙ্গে চুক্তিকে সম্মান করেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন তিনি। জিনেদিন জিদান প্রথম মেয়াদে রিয়ালের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর পচেত্তিনোর পেছনে ছুটেছিল রিয়াল। জিদান এখন দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়ালের কোচ। তবে পচেত্তিনো কিন্তু এখনো রিয়ালের কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।


পচেত্তিনো বলেন, ‘কখনো রিয়ালের কোচ হতে পারব কি না জানি না। তবে এটা আমার স্বপ্ন। এটা সেরা ক্লাব না হলে অন্যতম সেরা তো বটেই। প্রায় সবার স্বপ্নের তালিকাতেই এটা থাকে, আমিও আলাদা নই।’