রিয়ালের কাজটা সহজ করে দিল আতলেতিকো

সিমিওনের দলের মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়নিছবি: রয়টার্স

লা লিগায় দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম ৬ ম্যাচের সম্ভাব্য ১৮ পয়েন্ট থেকে ১৬ পয়েন্ট পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোরা। প্রতিপক্ষকে দিয়েছে ২১ গোল। বার্সেলোনা তো লিওনেল মেসিকে হারিয়ে নিজেদের এখনো খুঁজে পায়নি এখনো। রিয়ালের সঙ্গে আপাতত লড়াইটা হচ্ছিল আতলেতিকো মাদ্রিদের। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা প্রথম ৬ ম্যাচে খুব একটা ভালো না খেললেও ১৪ পয়েন্ট নিয়ে রিয়ালের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল তারা।

প্রথম ৬ ম্যাচে দুবার হারতে হারতেও শেষ মুহূর্তে বেঁচে গিয়েছিল আতলেতিকো। কিন্তু বারবার তো আর ভাগ্য পক্ষে থাকে না। আজ আলাভেসের মাঠে গিয়ে আর রক্ষা হয়নি তাদের। ম্যাচের ৪ মিনিটে গোল হজম করে সেটা আর শোধ দিতে পারেনি ডিয়েগো সিমিওনের দল। ৭ ম্যাচ শেষে তাই আগের ১৪ পয়েন্টেই আটকে রইল আতলেতিকো। ফলে আজ ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে বেশ নির্ভারে মাঠে নামতে পারবে রিয়াল। হারলেও আজ লিগ শীর্ষে থাকবে রিয়াল।

বার্সেলোনার সাবেক আক্রমণভাগ এখন আতলেতিকোতে। লুইস সুয়ারেজ ও আঁতোয়ান গ্রিজমান দুজনই আজ ছিলেন শুরু থেকে। সুয়ারেজ গত ম্যাচেই দুই গোল করে পিছিয়ে পড়া দলকে বাঁচিয়েছেন। কিন্তু বার্সেলোনা ছেড়ে আবার আতলেতিকোতে ফেরা গ্রিজমান গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচের আগেই বেশ আওয়াজ উঠেছিল। আজ আরও একবার শূন্য হাতে ফিরে আলোচনাটা জমিয়ে তুললেন ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড।

লাগার্দিয়ার গোল আলাভেসকে মহাগুরুত্বপূর্ণ এক জয় এনে দিয়েছে
ছবি: রয়টার্স

এ মৌসুমে আতলেতিকোর আক্রমণভাগ ঠিক জমে উঠছে না। তর্ক সাপেক্ষে লিগের সেরা আক্রমণভাগ দলটির। সুয়ারেজ, গ্রিজমান তো আছেনই। সে সঙ্গে জোয়াও ফেলিক্স, থমাস লেমার, আনহেল কোরেয়া, কারাসকো, ম্যাথুস কুনিয়া, মার্কোস ইয়োরন্তেরাও আছেন। সে দলই গত তিন ম্যাচের দুটিতে কোনো জয় পায়নি। তবু আজ একটু হলেও চিন্তামুক্ত ছিলেন সিমিওনে। লিগের প্রথম ৫ ম্যাচেই যে হেরেছে আলাভেস।

রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে পারছিলেন না সুয়ারেজ
ছবি: রয়টার্স

সে ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে বসেছে আতলেতিকো। চতুর্থ মিনিটে কর্নার থেকে দারুণ এক ক্রস ফেলেন রুবেন দুয়ার্তে। সেটা থেকে হেড করেন আরেক ডিফেন্ডার ভিক্তর লাগার্দিয়া। সেই যে পিছিয়ে পড়ল আতলেতিকো, আর ম্যাচে ফেরা হয়নি তাদের। এগিয়ে যাওয়ার পরই ডি-বক্সের আশপাশে ৯ জন খেলোয়াড় দিয়ে রক্ষণব্যুহ সৃষ্টি করে আলাভেস। গোলকিপারের সামনে পাঁচ ডিফেন্ডার, তাঁদের সামনে চার মিডফিল্ডার।

এমন নিশ্ছিদ্র ডিফেন্স ভেদ করা সম্ভব হয়নি সুয়ারেজদের পক্ষে। ম্যাচে ১৩টি শট নিয়েছিলেন সুয়ারেজরা। এর মধ্যে মাত্র একটি গোলকিপার পর্যন্ত পৌঁছেছে। আনহেল কোরেয়ার সে শট পা দিয়ে ঠেকিয়েছেন পাচেকো।