রেফারিকে গালি দিয়ে লাল কার্ড দেখলেন জেরার্ড

স্টিভেন জেরার্ডকে লাল কার্ড দেখাচ্ছেন রেফারি।
ছবি: সংগৃহীত

দল ভালো খেলছিল, কিন্তু গোল পাচ্ছিল না। রেঞ্জার্সের কোচ স্টিভেন জেরার্ডের মেজাজটা এমনিতেই খারাপ ছিল। এমন সময়েই কি না ‘পরিষ্কার’ একটি পেনাল্টি দেননি রেফারি। রাগে রীতিমতো গজগজ করছিলেন জেরার্ড। সেই রাগটা তিনি রেফারির ওপর ঝাড়তে চেয়েছিলেন ম্যাচের বিরতির সময়। খেলোয়াড় আর ম্যাচ অফিশিয়ালরা যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, জেরার্ড রেফারির বিটনের দিকে এগিয়ে যান। কথা বলার চেষ্টা করেন তাঁর সঙ্গে।

রেফারি বিটন কথা বলতে আগ্রহ দেখাননি। এ কারণে আরও রেগে যান জেরার্ড। একটা পর্যায়ে রেফারিকে গালি দিয়ে বসেন লিভারপুল ও ইংল্যান্ডের সাবেক মিডফিল্ডার। প্রথমে জেরার্ড যখন রাগে গজরাতে থাকেন, রেফারি তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান। পরে রেফারির উদ্দেশে গালি দেন জেরার্ড। তখন তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান বিটন। দুই হলুদ কার্ড মিলে হয়ে গেছে লাল কার্ড। ডাগআউটে আর দাঁড়াতে পারেননি জেরার্ড।

পরিষ্কার পেনাল্টি না পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন রেঞ্জার্সের কোচ স্টিভেন জেরার্ড।
ছবি: রয়টার্স

ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচের নায়ক মোরেলসের সুবাদে। গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠা রেঞ্জার্সের কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড আলফ্রেদো মোরেলস বল নিয়ে লিভিংস্টনের বক্সে ঢুকে পড়েন। সেই সময় তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন লিভিংস্টনের গোলকিপার।

সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টির দাবি তোলে রেঞ্জার্সের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেননি। এরপর বিরতির সময় কী হয়েছিল—এটা ম্যাচ শেষে বলেছেন জেরার্ড, ‘আমি রেফারিকে বলেছিলাম, আপনি আমার সঙ্গে কথা বলতে চান না? এর উত্তরে রেফারি বলেছিলেন, “আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি না।”’

এটা বলার পরই চটে গিয়েছিলেন জেরার্ড। চটে গিয়ে তিনি রেফারিকে গালি দিতে শুরু করেন। একটি গালি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি কেন আপনি আমার সঙ্গে কথা বলতে চান না। কারণ, ভয়ংকর একটা ভুল করেছেন আপনি। আসলে আপনি তখন নিজের মধ্যে ছিলেনই না, পাগল হয়ে গিয়েছিলেন!’

রেঞ্জার্সের কোচ স্টিভেন জেরার্ড।
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত রেঞ্জার্সই জিতেছে, ১-০ গোলে। ৮৭ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেছেন সেই মোরেলসই। কিন্তু পেনাল্টি না পাওয়ার আক্ষেপ জয়েও ভোলেননি জেরার্ড, ‘এটা পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল। আমি এমন একজন, যে কিনা রেফারিদের সব সময় সমর্থন করি। কারণ, আমরা সবাই-ই ভুল করি।’ কিন্তু জেরার্ডও এত বড় ভুল মেনে নিতে পারেননি, ‘কিন্তু এ জন্য তিনজন মানুষ (প্রধান রেফারি ও দুই লাইন্সম্যান) একই ভুল করবে! তারা সবাই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে দেখতে পেয়েছে। এই পর্যায়ের খেলায় তিনজন অফিশিয়াল একই ভুল করবে—এটা আমি মানতে পারি না।’

এ তো গেল পেনাল্টি না দেওয়া আর ভুলের ব্যাপার। কিন্তু রেফারির সঙ্গে বচসা আর লাল কার্ড নিয়ে কী বলবেন জেরার্ড? তাঁর কথা, ‘আমি তাঁর কাছে বিষয়টির ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে কথাই বলতে চাইলেন না। একজনের এখানে ভুল হতে পারে। কিন্তু তিনজনের তো একই ভুল হতে পারে না। এটা ঠিক নয়।’