রেফারিকে তাড়া করার শাস্তি পেলেন আবাহনীর সোহেল-সাদরা

সেই মুহূর্ত।
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

সিদ্ধান্ত মনের মতো না হলে রেফারির দিকে তেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঢাকার ফুটবলে হরহামেশাই ঘটে। ক্ষুব্ধ ফুটবলাররা এমনভাবে রেফারিকে ঘিরে ধরেন, যা দেখতেও দৃষ্টিকটু লাগে। কখনো কখনো রেফারিকে লাঞ্ছিতও করেন ফুটবলাররা।

৭ জানুয়ারি ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে ঘটে এমনই ঘটনা। বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল পেয়েছিল আবাহনী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাবিব নেওয়াজের ওই গোলটি বাতিল হয়ে যায়। আবাহনীও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে। গোলটি বাতিল হওয়ায় রেফারির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন আবাহনীর ফুটবলার সোহেল রানা, টুটুল হোসেন, সাদ উদ্দিন।

এ ঘটনায় শাস্তি পেতেই হলো আবাহনীর ফুটবলারদের। আজ বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি এই ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেল রানা ও টুটুল হোসেনকে পরবর্তী এক ম্যাচে নিষিদ্ধ করেছে।

আবাহনী গোলরক্ষক এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছিলেন।
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

এ ছাড়া সোহেল রানাকে ৭৫ হাজার টাকা, টুটুলকে ৫০ হাজার টাকা এবং সাদ উদ্দিনকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি আবাহনীর ফিটনেস ট্রেনার কাজী নজরুল ইসলামকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার পর সেদিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না আবাহনীর কোচ মারিও লেমোস। তাঁকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।

লেমোসকে গুনতে হবে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। এ ছাড়া ভবিষ্যতে তিনি যেন এমন কাজ আর না করেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জরিমানার টাকাগুলো আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাফুফের হিসাব শাখায় জমা দিতে হবে।

ফেডারেশন কাপের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন শেখ রাসেলের ফুটবলার তকলিচ আহমেদ। অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য তাঁকেও পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।