রোনালদিনহোকে জেল থেকে ছাড়াতে টাকাপয়সা দিচ্ছেন না মেসি

লিওনেল মেসি ও রোনালদিনহো। যখন বার্সায় দুজন একসঙ্গে খেলতেন। এএফপি ফাইল ছবি
লিওনেল মেসি ও রোনালদিনহো। যখন বার্সায় দুজন একসঙ্গে খেলতেন। এএফপি ফাইল ছবি
>রোনালদিনহোকে সাহায্য করতে আইনি লড়াই কিংবা জামিনের জন্য অর্থনৈতিক কোনো সাহায্য করছেন না লিওনেল মেসি

বার্সেলোনার দিনবদল ঘটেছে রোনালদিনহোর হাত ধরে। লিওনেল মেসি যখন বার্সায় পা রাখেন, রোনালদিনহো তখন ক্যাম্প ন্যুর সর্বেসর্বা। মেসির সেখানে মানিয়ে নেওয়ার পেছনে এই ব্রাজিলিয়ানের ভূমিকা রয়েছে। মেসি নিজেও তা এর আগে স্বীকার করেছেন। সেই রোনালদিনহোর দিন কাটছে এখন জেলে। জাল পাসপোর্ট বহনের দায়ে প্যারাগুয়ের কারাগারে ভাইয়ের সঙ্গে দিন কাটছে বিশ্বকাপজয়ী এ কিংবদন্তির। গুঞ্জন উঠেছিল, রোনালদিনহোকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনতে মেসি নাকি ৪ মিলিয়ন ইউরো খরচের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সত্যি কি তাই?

মেসির সঙ্গে রোনালদিনহোর সম্পর্ক বরাবরই হৃদ্যতাপূর্ণ। পেরুর সংবাদমাধ্যম লিবেরো দাবি করেছিল, গাঁটের পয়সা খরচ করে রোনালদিনহোকে ছাড়িয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মেসি। প্রায় ৪ মিলিয়ন ইউরো খরচ হতে পারে আইনি এ লড়াইয়ে। কিন্তু স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত মেসির এক ঘনিষ্ঠের উদ্ধৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, এমন কোনো পরিকল্পনা নেই বার্সেলোনা তারকার।

স্পোর্তকে মেসির সেই ঘনিষ্ঠজন বলেছেন, রোনালদিনহোর বর্তমান পরিস্থিতিতে মেসি খুবই দুঃখ পেয়েছে। তবে ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলারকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনতে মেসির কোনো আইনি কিংবা অর্থনৈতিক সাহায্যের পরিকল্পনা নেই। এ মামলায় সে নিজের আইনজীবীকে নিয়োগ করেনি কিংবা জামিন ফি হিসেবে ৪ মিলিয়ন ইউরোও দিচ্ছে না।

জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে ঢোকায় জেলে যেতে হয়েছে এই শতাব্দীর অন্যতম সেরা ফুটবলার রোনালদিনহোকে। মামলায় এক বিচারক জানিয়েছেন, তদন্ত চলাকালে তাঁদের প্যারাগুয়েতে আটক রাখা উচিত। প্যারাগুয়ের আইন অনুযায়ী ছয় মাস ধরে তদন্তকাজ চালানো যায়। অর্থাৎ এ সময় রোনালদিনহোর জেলে থাকার সম্ভাবনাই বেশি।