রোনালদো বললেন নেইমারকে, ‘আকাশই তোমার সীমানা’

পেরুর বিপক্ষে হ্যাট্রটিকের পর নেইমার।ছবি: এএফপি

রোনালদো নাজারিও খুশিই হয়েছেন। ব্রাজিলের হয়ে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোলের তালিকায় নেইমার পেছনে ফেলেছেন ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী এক কিংবদন্তিকে। এটা তাঁর কাছে প্রত্যাশিতই ছিল। তাই উত্তরসূরির প্রতি নিংড়ে দিয়েছেন ভালোবাসা। বলেছেন, ‘আকাশই তোমার সীমা। উড়তে থাক, পাখির মতো। কী সুন্দর গল্পই না তুমি লিখছ!’

প্রতিটি ক্রীড়াবিদের ক্যারিয়ারই একেকটা গল্প। এগিয়ে চলার পথে নানা অর্জনে সমৃদ্ধ হয় তাঁদের সেই গল্প। পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচেও এমন এক অর্জনের মুখ দেখলেন নেইমার। হ্যাটট্রিক করে তিনি টপকে গেলেন রোনালদোকে। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে এত দিন পেলের পর সবচেয়ে বেশি গোল ছিল ‘ফেনোমেনন’খ্যাত রোনালদোর। ছিল—কথাটা বলতে হচ্ছে কারণ ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ ফুটবলারকে পেছনে ফেলে নেইমার এখন দুইয়ে।

নেইমারের পেছনে এখন তিনি।
ফাইল ছবি

কখনো কখনো পিছিয়ে পড়াতেও থাকে আনন্দ। রোনালদো নেইমারের কীর্তিতে সেই আনন্দই উপভোগ করছেন। পিএসজি-তারকাকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমার সব ভক্তি তোমার জন্য। প্রচুর খেলো, গোল বানাও, ড্রিবল করো, গোল করো। আকাশই তোমার সীমানা। উড়তে থাকো খোকা! কী সুন্দর গল্পই না তুমি লিখছ। পরিপূর্ণ এবং ধীরে ধীরে আরও পরিণত হওয়া ফুটবলার। হলুদ জার্সির ওজন আর মাঠের বাইরের বিষয়গুলো যে কিছু সময় বল পায়ে রাখার চেয়েও চ্যালেঞ্জের—তা আমি জানি। এখন বলো: আমরা কোত্থেকে এসেছি, কোথায় গিয়ে পৌঁছাব...কোনটা অসম্ভব তা আমাদের কে বলবে? নিজের সহজাত ক্ষমতার ওপর আস্থা রাখো। কারণ প্রতিভাটা তোমার, এটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। সামনে আরও অনেক রেকর্ড ভাঙবে, মাইলফলক গড়বে। একজন ব্রাজিলিয়ানকে শীর্ষে দেখে গর্ব লাগছে।’

নেইমারের সামনে এখন কেবল পেলে।
ছবি: এএফপি

এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশের জার্সিতে এক ম্যাচে ন্যূনতম তিন গোল করলেন নেইমার। তবে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এটাই তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক। ২৮ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড ব্রাজিলের জার্সিতে ১০৩ ম্যাচে করলেন ৬৪ গোল। ৯৮ ম্যাচে ৬২ গোল করেছিলেন রোনালদো। ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল নিয়ে শীর্ষে পেলে। অর্থাৎ নেইমারের সামনে এখন শুধু তিন বিশ্বকাপজয়ী—পেলে। বয়স তো নেইমারের মাত্র ২৮। পেলের রেকর্ড যে হুমকির মুখে, সেটা বলাই বাহুল্য।

রোনালদোকে টপকে যাওয়ার পর তাঁকে স্মরণ করে টুইট করেছেন নেইমারও, ‘ফেনোমেনোন আমার ভক্তি আপনার জন্য।’ পেরুর বিপক্ষে গোটা ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলেছেন নেইমার। হ্যাটট্রিক ছাড়াও গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন দুবার, সফল ড্রিবল করেছেন আটবার। ব্রাজিল কোচ হিসেবে নিজের পঞ্চাশতম ম্যাচে নেইমারের কাছ থেকে এর চেয়ে বড় পুরস্কার হয়তো পেতে পারতেন না তিতে।