রোনালদোকে বেঞ্চে রেখেই জুভেন্টাস চ্যাম্পিয়নস লিগে

ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাস রোনালদো ও দিবালার।ছবি: জুভেন্টাসের টুইটার

শুধু নিজেরা জিতলেই হতো না, তাকিয়ে থাকতে হতো অন্যদের ম্যাচের দিকেও। নিজেদের জয়ের পাশাপাশি সেখানে ফল পক্ষে এলেই শুধু আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ পেত জুভেন্টাস। তা-ই হয়েছে, ভাগ্য হেসেছে জুভের দিকে চেয়ে।

বোলোনিয়ার মাঠে জুভেন্টাস তো ৪-১ গোলে জিতেছেই, অন্য ম্যাচে নাপোলি নিজেদের মাঠে ভেরোনার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করাতেই কপাল খুলেছে জুভেন্টাসের। ৩৮ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগের সেরা চারে থেকে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাস। ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম হওয়া নাপোলি এরই মধ্যে কোচ জেন্নেরো গাত্তুসোকে বরখাস্ত করেছে।

অন্য ম্যাচে আতালান্তার মাঠে ২-০ গোলে জিতেছে এসি মিলান। তাতে আতালান্তাকে (৩৮ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট) টপকে লিগে দ্বিতীয় হয়ে মৌসুম শেষ করল ইব্রাহিমোভিচের মিলান (৩৮ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট)। আতালান্তা ও জুভেন্টাসের পয়েন্ট সমান হলেও মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাবে এগিয়ে থেকে তৃতীয় হয়েছে আতালান্তা।

জুভেন্টাস থাকছে চ্যাম্পিয়নস লিগে।
ছবি: টুইটার

জুভেন্টাসের ম্যাচে অবশ্য জয়-পরাজয়ের চেয়েও বড় খবর হয়ে দাঁড়ায় রোনালদোর একাদশে না থাকা। পরে তো পুরো ম্যাচে নামাই হলো না ৩৬ বছর বয়সী পর্তুগিজ যুবরাজের! মৌসুমে ক্লাবের সবচেয়ে বড় ম্যাচে, অথচ এই ম্যাচেই কি না রোনালদোর মাঠে নামা হলো না! বিখ্যাত ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানোর টুইট, রোনালদোকে না নামানোর কারণটি পুরোপুরিই ‘কৌশলগত।’ পর্তুগিজ যুবরাজের কোনো চোট ছিল না।

রোনালদো না খেললেও জুভের গোল পেতে তেমন ঘাম ঝরাতে হলো না। বিরতিতেই দলটা এগিয়ে ছিল ৩-০ গোলে, ৪৭ মিনিটে এল চতুর্থ গোল। চোখধাঁধানো ফর্মে থাকা ফেদেরিকো কিয়েসার গোলে ৬ মিনিটে গোল-উৎসব শুরু, ২৯ ও ৪৭ মিনিটে দুই গোল করলেন আলভারো মোরাতা। মাঝে ৪৫ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল আদ্রিয়েন রাবিওর।

জুভের চতুর্থ গোলটির সময়ও অবশ্য তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ নিশ্চিত ছিল না। আরও অনিশ্চিত হয়ে যায় ওদিকে নাপোলির মাঠে ৬০ মিনিটে নাপোলির আমির রাহমানি গোল করলে। ভেরোনার বিপক্ষে এগিয়ে থাকা নাপোলি তখন পয়েন্ট তালিকার সেরা চারে, জুভেন্টাস পাঁচে!

জুভেন্টাসের আরেকটি গোল।
ছবি: টুইটার

কিন্তু ৬৯ মিনিটে ভেরোনার দাভিদে ফারাওনি গোল করে জুভেন্টাসে প্রাণ ফেরান। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে সমতাসূচক ওই গোলই লিগে দুই দলের মধ্যে হয়ে থাকে ব্যবধানসূচক।

আতালান্তার মাঠে মিলানের দুটি গোলই পেনাল্টি থেকে, দুটিই ফ্রাঙ্ক কেসির। প্রথমটি ৪৩ মিনিটে, দ্বিতীয়টি ম্যাচ শেষের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে।