রোনালদোর বাড়িতে ঢুকে চোর চুরি করল কেবল জার্সি

ফুনচাল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্মভূমি। ২০১৫ সালে সেখানে সাত তলা বাড়ি কিনেছিলেন পর্তুগিজ তারকা। স্প্যানিশ সংবাদ সংস্থা ইএফই জানিয়েছে বুধবার তাঁর এই বাসায় চোর ঢুকেছিল। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সেই চোর রোনালদোর বাড়ি থেকে যা যা নিয়েছে, তার মধ্যে দামি কোনো জিনিস নেই। যা কিছু খোয়া গেছে, তার মধ্যে আছে রোনালদোর সই করা জুভেন্টাসের একটা জার্সি!

রোনালদোর এই বাড়িতেই চোর ঢুকেছিল
ছবি: টুইটার

তবে চোর পালিয়ে বাঁচতে পারেনি। বাসার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় তাঁকে চিহ্নিত করেছে পর্তুগালের পাবলিক সিকিউরিটি পুলিশ (পিএসপি)। ছুটি কিংবা অবসরের সময়গুলো পরিবার নিয়ে এই বাসাতেই থাকেন জুভেন্টাস তারকা। গত বসন্তে বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ ও সন্তানদের নিয়ে এ বাসায় সময় কাটিয়ে গেছেন রোনালদো।

পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বাসার এক কর্মী ভুল করে গ্যারাজের দরজা খুলে রেখেছিলেন। সেই দরজা দিয়েই ঢুকেছিল সেই চোর। বাড়ির ভেতরে ঢুকে চোর শুধু জার্সি ছাড়াও নিয়েছে বেসবলের একটি ক্যাপ। রোনালদোর এ বাড়িতে অলিম্পিক মানের দুটি সুইমিং পুল ও জিমের পাশাপাশি ছোট একটি ফুটবল মাঠ আছে। তাঁর ভাই হুগো এবং মা ডলোরেস আভেইরো মাঝে-মধ্যে এ বাসায় থাকেন। রোনালদো গত মার্চে এই বাসায় সময় কাটিয়েছিলেন। ইতালিতে তখন করোনার ভয়াবহ প্রকোপ চলছে।

রোনালদোর সই করা জুভেন্টাসের জার্সিটির দাম বড় জোর ২০০ ইউরো হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। সিসিটিভি ক্যামেরায় চোরকে চিহ্নিত করা হলেও এখনো তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’ একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। পুলিশের বরাতে তারা জানিয়েছে, রোনালদোর পরিবারের সঙ্গে সেই চোরের কিছুটা হলেও জানাশোনা থাকতে পারে। ফুনচালের এই বাড়িটির দাম ৭০ লাখ ইউরো।

নচালের এ বাসায় পরিবার নিয়ে ছুটি কাটান রোনালদো।
ছবি: টুইটার

বাড়িতে যখন চুরি হয় (বুধবার রাতে, বাংলাদেশ সময়), রোনালদো তখন লিসবনে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে মাঠে। স্থানীয় নকশাকার নিনি আন্দ্রাদে সিলভার কাছ থেকে বাড়িটি কিনে সংস্কার করেন জুভ তারকা। তার আগে এখানে স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের অফিস এবং নৈশক্লাব ছিল। গত বছর বাড়ির কাজ শেষ হওয়ার পর মা ও ভাইকে নিয়ে সেখানে ওঠেন রোনালদো। তাঁর ভাই হুগো ‘সিআরসেভেন’ জাদুঘরের ব্যবস্থাপক।

রোনালদোর বাড়ির গ্যারাজে মোট পাঁচটি গাড়ি রাখা হয়। বাড়ির ওপরের দুটি তলা রোনালদো ও তাঁর পরিবারের থাকার জন্য।