রোনালদোরা একঘরে করলেন ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার সতীর্থকে

গ্রিনউড আর ইউনাইটেডের জার্সিতে খেলতে পারবেন?ফাইল ছবি: রয়টার্স

গত পরশু ম্যাসন গ্রিনউডের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বান্ধবী। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২০ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ডের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেছেন গ্রিনউডের বান্ধবী; যদিও পরে ইনস্টাগ্রাম থেকে সেই ছবি-ভিডিওগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।

এ অভিযোগে ম্যাসন গ্রিনউডকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়তি সময় চেয়েছে পুলিশ। সে আবেদনে সাড়া দিয়েছেন আদালত। ওদিকে সতীর্থের বিরুদ্ধে এত ভয়াবহ অভিযোগ ওঠায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা।

ম্যাসন গ্রিনউড
ছবি: টুইটার

অভিযোগ ওঠার পরই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলো তাদের নজরে এসেছে। ইউনাইটেড সব সময়ই এমন ঘৃণিত অপরাধের বিরুদ্ধে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গ্রিনউডকে অনুশীলনে বা ম্যাচে ফেরানো হবে না বলে জানিয়েছে ক্লাব।

এদিকে পুলিশ তদন্তের জন্য গ্রিনউডকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল। গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত ২০ বছর বয়সী এক পুরুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য বাড়তি সময়ের অনুমতি পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং ভুক্তভোগীকে বিশেষজ্ঞের সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।’

ম্যাসন গ্রিনউড
ছবি: টুইটার

এ ছাড়া তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারে বা বাধা হয়ে উঠতে পারে—এমন কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছে পুলিশ, ‘আমরা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই, কোনো মন্তব্য করে বা ছবি শেয়ার করে ভুক্তভোগীর আড়ালে থাকার অধিকার যেন নষ্ট না করি কিংবা একটি চলমান তদন্তে যেন বাধা সৃষ্টি না করি।’

ইউনাইটেডের একাডেমিতে বেড়ে ওঠা গ্রিনউডের পেশাদার ফুটবলে অভিষেক ২০১৯ সালে। তাঁকে কেন্দ্র করে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছিল ক্লাব। এ অবস্থায় ক্লাব তাঁকে আপাতত খেলা থেকে সরিয়ে রাখলেও পূর্ণ বেতন দিয়ে যাবে। তবে তাঁর স্পনসর ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাণপ্রতিষ্ঠান নাইকি আপাতত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ম্যাসন গ্রিনউডের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্থগিত করেছি। এমন ভয়ংকর অভিযোগে আমরা খুবই চিন্তিত এবং খুব কাছ থেকে ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করব।’

ম্যাসন গ্রিনউড
ছবি: টুইটার

এদিকে গ্রিনউডের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যে সতীর্থরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন, সেটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই টের পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ ওঠার একটু পরই গ্রিনউডকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একে একে সে পথে হেঁটেছেন জেসি লিনগার্ড, দাভিদ দা হেয়া, পল পগবা, এদিনসন কাভানি, স্কট ম্যাকটমিনেও। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অফিশিয়াল পেজ এখনো গ্রিনউডকে অনুসরণ করছে।