রোববার আসছেন সানডে

সানডেকে ফেরাচ্ছে আবাহনী।ছবি: প্রথম আলো

করোনা পরিস্থিতির অবনমন ঘটায় বর্তমানে বাংলাদেশে লকডাউন চলছে। প্রয়োজনে সেটি বাড়ানো হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। এর ফলে ঢাকায় ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এএফসি কাপের প্লে-অফের ম্যাচটি আয়োজনের অসম্মতি জানিয়ে এএফসিকে চিঠি দিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু আবাহনীর অনুরোধ রাখেনি এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী আবাহনীকে ম্যাচটি আয়োজন করতে বলেছে এএফসি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস, ‘এএফসি আমাদের ম্যাচটি আয়োজনের কথা বলেছে। এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। ১৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।’

কঠিন পরীক্ষায় নামার আগে আবাহনীর জন্য সুখবর, দলে ফিরছেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে সিজোবা। নামের সঙ্গে মিলের কারণেই হোক বা কাকতাল, রোববারই ঢাকায় আসছেন তিনি।

সানডে আবাহনীর পুরোনো সৈনিক।
ছবি: প্রথম আলো

এএফসি কাপের প্লে-অফের ম্যাচটিতে আবাহনীর প্রতিপক্ষ কোন দল হবে, সেটি নিশ্চিত হয়েছে গতকাল। প্রতিপক্ষের নাম ইগলস, মালদ্বীপের ক্লাব। কাল তারা মালেতে ভুটানের থিম্পু এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্লে-অফ পর্বে এসেছে।

প্লে-অফ পর্ব পেরিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চল থেকে এএফসি কাপে খেলার সুযোগ আছে আবাহনীর। এর জন্য আবাহনীকে পাড়ি দিতে হবে দুটি ধাপ। ১৪ এপ্রিল ম্যাচটি জিতলে প্লে-অফ পর্বে আবাহনীর দ্বিতীয় ম্যাচটি ২১ এপ্রিল।

এএফসি কাপ ছাড়াও প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বের জন্য আবাহনী ফিরিয়ে আনছে তাদের ঘরের ছেলে সানডে সিজোবাকে। তাঁকে নিতে আবাহনী ছেড়ে দিয়েছে ব্রাজিলের ফ্রান্সিসকো তোরেসকে। লিগে ১২ ম্যাচে ৭ গোল করেছেন তোরেস। তবে তাঁর খেলায় আবাহনী খুশি ছিল না বলে জানা গেছে।

১১ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা লকডাউনের। এর মধ্যে বিদেশি দলের ঢাকায় পা রাখা মানে কোয়ারেন্টিন পর্ব ঠিকভাবে মানার বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। সে ক্ষেত্রে ১৪ এপ্রিল ম্যাচ কীভাবে আয়োজন করা যাবে, সেটিও ধোঁয়াশায় পড়ে যায়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আবাহনীর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান সত্যজিৎ দাস, ‘ম্যাচটি নিয়ে আগেই মন্ত্রণালয়ের আলোচনা হয়ে আছে। আরও কিছু বিষয় চূড়ান্ত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা চলছে আমাদের।’