লক্ষ্য পূরণের পথে মরিনিওর বাধা আর এক ম্যাচ

টটেনহাম কোচ জোসে মরিনিওছবি: টুইটার

ইংল্যান্ডে টটেনহাম হটস্পার বরাবরই শক্তিশালী দল হিসেবে পরিচিত। এই দলের কল্যাণে এক যুগ ধরে পৃথিবী দেখেছে গ্যারেথ বেল, লুকা মদরিচ, ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন, হ্যারি কেন, উগো লিওরিসদের মতো খেলোয়াড়দের উত্থান।

ইংলিশ ফুটবলের পরাশক্তি হওয়ার আশায় দলটা মরিসিও পচেত্তিনো, আন্দ্রে ভিয়াস বোয়াসদের মতো কোচকেও এনেছে ডাগআউটে। কিন্তু প্রতিবারই প্রতিপক্ষদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিলেও গত এক যুগের বেশি সময় শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি দলটার।

তাই সোয়া এক বছর আগে জোসে মরিনিওর মতো কিংবদন্তি যখন টটেনহামের দায়িত্ব নিলেন, তাঁর কার্যতালিকায় সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল টটেনহামকে অন্তত একটা ট্রফি জেতানো। ২০০৮ সালে সর্বশেষ ট্রফি জেতা টটেনহামের ট্রফিখরা ঘোচানো। সেটা যে ট্রফিই হোক না কেন।

সেটা লিগও হতে পারে, হতে পারে লিগ কাপ কিংবা এফএ কাপ। অন্তত যাতে নিজেদের ট্রফিকেসে একটা কিছু দেখে পরবর্তী কিছু জেতার জন্য যেন কেন-সনরা অনুপ্রেরণা পান, সেটাই লক্ষ্য ছিল মরিনিওর।

সে লক্ষ্য পূরণের পথে গত রাতে বেশ বড়সড় একটা ধাপ অতিক্রম করেছেন এই পর্তুগিজ ম্যানেজার। কারাবাও কাপের (ইংলিশ লিগ কাপ) সেমিতে ব্রেন্টফোর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে টটেনহাম।

ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মধ্যে বিজয়ী দল। দলের হয়ে গোল করেছেন ফরাসি মিডফিল্ডার মুসা সিসোকো ও দক্ষিণ কোরিয়ান উইঙ্গার হিউং মিন সন।

নিজের লক্ষ্য পূরণে মরিনিও যথারীতি বদ্ধপরিকর, ‘খেলোয়াড়দের কাছ থেকে যেটা আমি দেখেছি, সেটা হলো একটা ট্রফি জেতার আকাঙ্ক্ষা। আমি বলছি না যে আমরা অনেক শক্তিশালী কিংবা আমরা অনেক বড় কোনো দল, কিন্তু আমার মনে হয় আমরা একটা ট্রফি জেতার লক্ষ্যে বেশ সৎ। এ ট্রফি যারা জেতে, তাদের নাম দেখুন, আপনি বুঝতে পারবেন যে বড় ক্লাবগুলো এই ট্রফি জিততে চায়। শেষ কবে একটা তথাকথিত ছোট ক্লাব এই ট্রফি জিতেছিল? ২০১৩ সালে সোয়ানসি? ওটা বাদ দিলে আপনি দেখবেন এই ট্রফি নিয়মিত চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবগুলোই জিতছে। লিভারপুল, আর্সেনালের মতো ক্লাবগুলো ফাইনাল খেলছে।’

ফাইনালে জিতলে পাঁচবার লিগ কাপ জেতা হয়ে যাবে মরিনিওর। আগে যে ট্রফিটা চেলসি কিংবা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবগুলোর হয়ে জিতেছেন তিনি। আপাতত চারবার জিতে স্যার আলেক্স ফার্গুসন ও ব্রায়ান ক্লফের মতো ম্যানেজারের পাশেই আছেন মরিনিও।