ল্যাম্পার্ডের চাকরি নিয়ে টানাটানি

শিষ্য ভেরনারের বাজে ফর্মের মাশুল দেবেন ল্যাম্পার্ড?ছবি : রয়টার্স

ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চাকরি হুমকির মুখে।

গত রাতে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে নিজেদের মাঠে রীতিমতো নাকাল হয়েছে চেলসি। হেরে বসেছে ৩-১ গোলে। এ নিয়ে ডিসেম্বর মাস শুরুর পর চার ম্যাচে হারল চেলসি। এই সময়ে শুধু শেফিল্ড ইউনাইটেড আর ওয়েস্ট ব্রমের মতো ক্লাবই এর চেয়ে বেশি ম্যাচ হেরেছে। গত সাত ম্যাচে চারটাতেই হেরেছে চেলসি, জিতেছে মাত্র একটিতে, তা–ও ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে এক মাস আগেও যে চেলসি শিরোপার স্বপ্ন দেখছিল, এক মাস পর তাদের কোচই এখন চাকরির চিন্তা করছেন।

প্রথমার্ধেই সিটিকে এগিয়ে দেন তিন মিডফিল্ডার ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন, বেলজিয়ামের কেভিন ডি ব্রুইনা ও জার্মানির ইলকায় গুনদোয়ান। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে গোল করে চেলসির ইংলিশ উইঙ্গার ক্যালাম হাডসন-অদয় শুধু ব্যবধানই কমিয়েছেন।

হাভের্টজের ফর্মও চিন্তায় ফেলেছে চেলসিকে।
ছবি : রয়টার্স

ব্রিটেনের চেলসিবিষয়ক নির্ভরযোগ্য দুই সাংবাদিক সিমোন জনসন ও লিয়াম টুয়োমি তাঁদের প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ল্যাম্পার্ডের চাকরি রাখা যায় কি না, এ নিয়ে এর মধ্যেই আলোচনায় বসেছেন চেলসির কর্তাব্যক্তিরা। সিটির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে পয়েন্ট তালিকায় চেলসির অবস্থান অষ্টম, তাদের ঠিক পেছনে থাকা ও সমান পয়েন্ট পাওয়া সাউদাম্পটনও হয়তো চেলসিকে টপকে যাবে, যদি তারা আজ লিভারপুলের বিপক্ষে অন্তত একটা পয়েন্ট জোগাড় করতে পারে। গত মৌসুমে ঠিক এই পর্যায়ে চেলসির পয়েন্ট এখনকার চেয়ে তিন বেশি ছিল, ফলে মরিজিও সারিকে হটিয়ে ল্যাম্পার্ডকে নিয়োগ দিয়ে দলবদলের বাজারে ২০ কোটি পাউন্ডের বেশি খরচ করা চেলসির উন্নতিটা ঠিক কোথায়, এ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন চেলসি-কর্তারা, এমনটাই জানা গেছে সেই প্রতিবেদনে।

শুধু তা–ই নয়, দুই জার্মান টিমো ভেরনার ও কাই হাভের্টজের ফর্ম নিয়েও চিন্তায় চেলসি। দুজনের পেছনে প্রায় এক কোটি পাউন্ডেরও বেশি খরচ করার পর প্রত্যাশিত ফলাফল পাচ্ছে না লন্ডনের ক্লাবটা। ৪-৩-৩ কিংবা ৪-২-৩-১ ছকে উইঙ্গার, স্ট্রাইকার না আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার, কোন জায়গায় হাভের্টজ বেশি কার্যকরী, এখনো বের করে উঠতে পারেননি ল্যাম্পার্ড। একই দশা ভেরনারের ক্ষেত্রেও। লাইপজিগে ৪-২-২-২ ছকে সহকারী স্ট্রাইকার হিসেবে খেলা ভেরনারকে চেলসিতে ৪-৩-৩ কিংবা ৪-২-৩-১ ছকে খেলতে হচ্ছে লেফট উইঙ্গার হিসেবে। ফলে লাইপজিগের তুলনায় চেলসিতে প্রতিপক্ষের গোলমুখে আসতে বেশি প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন এই জার্মান স্ট্রাইকার। যার প্রভাব পড়ছে গোল ও অ্যাসিস্ট সংখ্যায়। গত ১২ ম্যাচ ধরে গোল নেই এই স্ট্রাইকারের। গত ৪ বছরে এত দীর্ঘ সময় গোলখরায় কাটাননি ভেরনার।

সব মিলিয়ে চাকরি নিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন ল্যাম্পার্ড। দেখা যাক, চাকরি টেকাতে পারেন কি না!