ল্যাম্পার্ডের জায়গায় চেলসিতে আসছেন সাবেক লিভারপুল কোচ?

ল্যাম্পার্ডের চাকরি ঝুলছে সুতোয়।ছবি: রয়টার্স

গ্রীষ্মকালীন দলবদলে যে মেম্ফিস ডিপাই আর এরিক গার্সিয়াকে চেয়েও কিনতে পারেনি বার্সেলোনা, এই শীতকালীন দলবদলের সময় কি সেটা হবে? লিভারপুল কি রক্ষণভাগের নতুন কোনো খেলোয়াড় কিনবে? ম্যানচেস্টার সিটি আগুয়েরো-জেসুসদের সঙ্গী হিসেবে আরেক স্ট্রাইকার কেনার কথা ভেবে দেখছে? রামোসের রিয়ালের সঙ্গে চুক্তিরই-বা কী অবস্থা? তিনি যদি রিয়ালে না থাকেন, তাহলে কোথায় যেতে পারেন?

এমন আরও হাজারো দলবদলের গুঞ্জনে মুখর ইউরোপীয় ফুটবল পাড়া। এ রকম অনেক প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিত হয়ে যাবে আর কিছুদিনের মধ্যেই। ইউরোপীয় ফুটবলে শীতকালীন দলবদল চলছে এখন। মাসজুড়ে ক্লাবগুলো পছন্দের খেলোয়াড় কিনে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে চাইবে, অপ্রয়োজনীয় খেলোয়াড় ছেড়ে দিয়ে খরচ কমাতে চাইবে। ইউরোপের প্রধান লিগগুলোর দলবদল চলবে একদম চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত।

সম্ভাব্য দলবদলের জন্য বাতাসে ভাসছে অনেক খেলোয়াড় ও তাঁদের প্রতি আগ্রহী ক্লাবগুলোর নাম। সাম্প্রতিক গুঞ্জনগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক!

ল্যাম্পার্ডের জায়গায় সাবেক লিভারপুল কোচ?
কে আসবেন চেলসির কর্তা হয়ে? ইংলিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মিরর’ জানাচ্ছে ব্রেন্ডান রজার্সের কথা। লিভারপুলের সাবেক এই ম্যানেজার এখন আছেন লেস্টার সিটির দায়িত্বে, নিয়মিত ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন। উন্নতির এই ধারা বজায় থাকলে যেকোনো মুহূর্তে চেলসি এসে তাঁর দ্বারে কড়া নাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। রজার্স আগেও চেলসির সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

কদিন আগে রজার্সের লেস্টার হারিয়ে দিয়েছে ল্যাম্পার্ডের চেলসিকে।
ছবি: রয়টার্স

চুক্তি বাড়াচ্ছেন না ভাসকেজ?
রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে উইঙ্গার লুকাস ভাসকেজের আগ্রহ নেই বলে জানা গেছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘কাদেনা সের’ দিয়েছে এমন তথ্য। জানা গেছে, গত গ্রীষ্মে ভাসকেজকে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ, সেই রাগ এখনো পুষে রেখেছেন এই তারকা। ফলে একই বেতনে ভাসকেজের সঙ্গে আরও তিন বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করতে চাওয়া হলেও এই উইঙ্গার এখনো রাজি হননি।

চীন থেকে ফিরছেন বেনিতেজ
বছর দেড়েক আগে চীনে পাড়ি জমিয়েছিলেন সাবেক লিভারপুল, চেলসি, রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও ভ্যালেন্সিয়া কোচ রাফায়েল বেনিতেজ। যোগ দিয়েছিলেন দালিয়ান প্রফেশনাল ক্লাবে। কিন্তু দেড় বছরে সে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবারও ইউরোপে ফেরার পরিকল্পনা করছেন তিনি। ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো অনুমান করছে, সাবেক ক্লাব নিউক্যাসল কিংবা স্কটল্যান্ডের সেল্টিকে ফিরতে পারেন তিনি। এদিকে বেনিতেজের জায়গায় বার্সেলোনার সাবেক কোচ কিকে সেতিয়েনকে আনতে চাইছে দালিয়ান।

ইউনাইটেডে সুখে নেই ডাচ তারকা
কী দুর্দান্ত দলটাই না ছিল আয়াক্সের। ম্যাটাইস ডে লিখট, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, ডনি ফন ডে বিক, হাকিম জিয়াশ—একাধিক তারকা উঠে এসেছিলেন দুবছর আগের সেই দুর্দান্ত মৌসুমের পর। এরপর প্রত্যেকেই পাড়ি জমিয়েছেন বড় বড় ক্লাবে। সেসব ক্লাবে সবাই নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলতে পারলেও এক ডে বিকই ব্যতিক্রম। পল পগবা, ব্রুনো ফার্নান্দেসদের কারণে মূল একাদশে জায়গাই হয় না এই তারকার। অথচ তাঁকে পাওয়ার জন্য এককালে রিয়াল মাদ্রিদের মতো দলও চেষ্টা করেছিল। করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক অসংগতির সৃষ্টি না হলে হয়তো আর ইউনাইটেডে নয়, রিয়ালেই দেখা যেত এই তারকাকে।

সেই ডে বিককে এখন কেনার পরও সুযোগ দেন না ইউনাইটেড ম্যানেজার ওলে গুনার সুলশার। আর তাতে যে এই ডাচ মিডফিল্ডার বিশেষ সুখী নন, সেটা জানিয়েছেন খোদ ইউনাইটেডের ম্যানেজারই!

ওজিল কদিন আগে আর্সেনাল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন ফেনেরবাচেতে।
ছবি: রয়টার্স

এ তো গেল গুঞ্জনের খবর। কিন্তু এ পর্যন্ত কোন কোন খেলোয়াড় দল পরিবর্তন করলেন? লম্বা তালিকাটা একনজরে দেখে নেওয়া যাক-

সম্পাদিত ধার চুক্তি
আরকাদিউশ মিলিক (নাপোলি থেকে মার্শেই)
উইলিয়ান জোসে (রিয়াল সোসিয়েদাদ থেকে উলভারহ্যাম্পটন)
ড্যানি ড্রিঙ্কওয়াটার (চেলসি থেকে কাসিমপাসা)
আন্দ্রেয়া কন্তি (এসি মিলান থেকে পারমা)
ফিকায়ো তোমোরি (চেলসি থেকে এসি মিলান)
ম্যাথিউ রায়ান (ব্রাইটন থেকে আর্সেনাল)
সোয়ালিহো মেইতে (তুরিনো থেকে এসি মিলান)
কেভিন স্ট্রুটমান (মার্শেই থেকে জেনোয়া)
লুকা ইয়োভিচ (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট)
মুসা দেম্বেলে (অলিম্পিক লিওঁ থেকে আতলেতিকো মাদ্রিদ)
তাকেফুসা কুবো (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে হেতাফে)
কার্লেস আলেনিয়া (বার্সেলোনা থেকে হেতাফে)
উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল থেকে নিস)
রাজ্জা নাইনগোলান (ইন্টার মিলান থেকে ক্যালিয়ারি)

সম্পাদিত পূর্ণাঙ্গ চুক্তি
ক্লাস-ইয়ান হুন্টেলার (আয়াক্স থেকে শালকে, ফ্রি)
জ্যাক উইলশেয়ার (ওয়েস্ট হাম থেকে বোর্নমাউথ, ফ্রি)
ক্রেপিন দিয়াত্তা (ক্লাব ব্রুজেস থেকে মোনাকো, ১১.৭ মিলিয়ন পাউন্ড)
মেসুত ওজিল (আর্সেনাল থেকে ফেনেরবাচে, ফ্রি)
সেবাস্তিয়েন আলের (ওয়েস্ট হাম থেকে আয়াক্স, ২০ মিলিয়ন পাউন্ড)
ওমর রেকিক (হার্থা বার্লিন থেকে আর্সেনাল, ০.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
আমাদ দিয়ালো (আতালান্তা থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ১৮.৭ মিলিয়ন পাউন্ড)
জোয়াকিম মায়েলে (গেঙ্ক থেকে আতালান্তা, ৯ মিলিয়ন পাউন্ড)
ডমিনিক জবোস্লাই (সালজবুর্গ থেকে লাইপজিগ, ২২.৯ মিলিয়ন পাউন্ড)