শুরুটা ভালোই হলো নতুন চেলসির

একই ফ্রেমে দুই গোলদাতা রিস জেমস ও কার্ট জুমা।ছবি : রয়টার্স

টিমো ভেরনার, থিয়াগো সিলভা, হাকিম জিয়াশ, বেন চিলওয়েল, কাই হাভের্তজ, মালাং সার, জাভিয়ের এমবুয়াম্বা। একগাদা নতুন তারকাকে এনে চেলসির চেহারা এখন একদম অন্যরকম। লিগে 'নতুন' এই চেলসির শুরুটাও হলো দুর্দান্ত। ৩-১ গোলে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ আলবিওনকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে পথচলা শুরু করেছে তারা।

একগাদা খেলোয়াড় কিনলেও, প্রথম দিনেও সবাইকে নামাননি কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। শুধু দুই জার্মান কাই হাভের্তজ আর টিমো ভেরনারেরই অভিষেক ঘটেছে। অভিষেক ঘটলেও দুজনের কেউই গোল পাননি। পুরোনো খেলোয়াড়দের ওপর চড়েই ব্রাইটন-বাধা পেরিয়েছে লন্ডনের নীল দলটা। গোল করেছেন দুই ডিফেন্ডার রিস জেমস ও কার্ট জুমা। আরেকটা গোল মিডফিল্ডার জর্জিনিওর। গত বছর এই মাঠ থেকেই ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল চেলসি। এমনকি প্রাক মৌসুমের ম্যাচেও ব্রাইটনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল চেলসি। তবে আর ড্র নিয়ে ফিরতে হয়নি ল্যাম্পার্ডদের।

ম্যাচের ২৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় চেলসি। ব্রাইটনের অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক ম্যাথিউ রায়ানের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ডি-বক্সে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে পড়েন জার্মান স্ট্রাইকার ভেরনার। তাঁকে আটকাতে গিয়ে অবৈধভাবে ফাউল করে বসেন এই গোলরক্ষক। প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে গোল করতে মোটেও সমস্যা হয়নি ইতালির এই মিডফিল্ডারের। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এই ভেরনারের কারণেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল চেলসি। রায়ানের দৃঢ়তায় গোল হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে দুর্দান্ত এক আক্রমণে সমতায় ফেরে ব্রাইটন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন বেলজিয়ান উইঙ্গার লিয়ান্দ্রো ট্রসার্ড। তবে ব্রাইটনের এ আনন্দ বেশিক্ষণ থাকেনি। দুই মিনিট পরেই ডিবক্সের বাইরে থেকে গোলার মতো এক শটে চেলসিকে এগিয়ে নেন ইংলিশ রাইটব্যাক রিস জেমস। ৬৬ মিনিটে গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার কার্ট জুমা। জুমার নিচু একটা শট আটকাতে গিয়ে ভজকট পাকিয়ে ফেলেন ব্রাইটনের ইংলিশ সেন্টারব্যাক অ্যাডাম ওয়েবস্টার। তাঁর পায়ে লেগে দিক পালটে বল জালে জড়ায়।

পরে দুই দল চেষ্টা করেও আর কোনো গোল করতে পারেনি। দিনের আরেক ম্যাচে রোমাইন সাইস ও রাউল হিমেনেজের গোলে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিগে শুভসূচনা করেছে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স।

অভিষেকটা ভালোই হলো কাই হাভের্তজের।
ছবি: রয়টার্স