সনকে ক্লাব বদলানোর পরামর্শ দিলেন ‘ড্যাড’

গত মৌসুমে ২৩টি গোল করেছেন টটেনহাম ফরোয়ার্ড সনছবি: রয়টার্স

এবার লিগ মৌসুমটা দুর্দান্ত কেটেছে সন হিউং-মিনের। প্রথম এশিয়ান হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন, পেয়েছেন পরম আরাধ্যের গোল্ডেন বুট। পুরস্কারটা লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহর সঙ্গে ভাগাভাগি করলেও একদিক থেকে এগিয়ে সন। লিগে সালাহর মতোই ২৩টি গোল করেছেন টটেনহামের এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু এর একটি গোলও পেনাল্টি থেকে নয়। এত দুর্দান্ত এক মৌসুমের পর তাঁকে এখন বিশ্বসেরাদের কাতারেই রাখছেন অনেকে।

তবে পরিবারের লোকজন এখনো সন্তুষ্ট নন সনের পারফরম্যান্সে। তাঁর বাবার ধারণা, এখনো উন্নতির সুযোগ আছে ২৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের। তবে এ জন্য তাঁকে ক্লাব বদলাতে হবে।

বাবা ও মায়ের সঙ্গে সন
ছবি: টুইটার

২০১৫ সালে টটেনহামে যোগ দিয়েছেন সন। গত ৭ বছরে টটেনহামের হয়ে ১৩১টি গোল করেছেন, এর মধ্যে ৯৩টি গোল করেছেন লিগে। তবে এবারই প্রথম লিগে ২০টির বেশি গোল করছেন সন। টটেনহামে দুর্দান্ত খেলেও এই সাত বছরে কোনো শিরোপার স্বাদ পাননি। ফলে বিশ্বের সেরা তারকাদের তালিকা করতে গেলে সনের কথা কখনোই সেভাবে আলোচিত হতো না।

এবার গোল্ডেন বুট জিতেছেন সন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

দক্ষিণ কোরিয়ার এই তারকা ফুটবলারকে তাই দল বদলানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁর বাবা সন উং-জুং। সিজিটিভির সঙ্গে কথোপকথনে তাঁর কণ্ঠে একজন প্রকৃত এশিয়ান অভিভাবকের সুর, ‘ওকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং আরও উন্নতি করতে হবে। কিন্তু যা অর্জন করেছে তাতেই যদি সন্তুষ্ট হয়ে যায়, তবে সামনে বিপদ আছে। ফর্ম ধরে রাখতে হলে ওকে অবশ্যই আরও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আপনার কি তাই মনে হয় না? এখন যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট হওয়ার চেয়ে আমি চাইব সে যেন আরও ১০ শতাংশ ভালো হওয়ার চেষ্টা করে।’

সনকে টটেনহাম ছাড়তে বলেছেন তাঁর বাবা
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আর ১০ শতাংশ ভালো করতে হলে সনকে কী করতে হবে, সেটাও তাঁর বাবা বলে দিয়েছেন, ‘ওকে অবশ্য বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলোর একটিতে জায়গা করে নিতে হবে। তাহলেই শুধু ও বিশ্বমানের খেলোয়াড় হতে পারবে। এ বছর ও অনেক গোল করেছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে পরের বছরও সেটা করবে। শুধু যারা প্রস্তুত থাকে, তারাই বন্ধুর পরিস্থিতিতে টিকে থাকে। সাবধানি মন নিয়ে সবকিছুর মুখোমুখি হতে হবে এবং খুব বেশি গর্ব করা যাবে না।’

অবশ্য চাইলেই যে সন দল বদলাতে পারবেন, এমন নয়। টটেনহামের সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ এই ফরোয়ার্ড।