সব মিথ্যা অভিযোগ—বললেন রোনালদো

জুভেন্টাস তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।ছবি: রয়টার্স

অভিযোগটা তুলেছেন ইতালির ক্রীড়া মন্ত্রী ভিনচেঞ্জো স্পাদাফোরা। করোনায় আক্রান্তের পর যেসব নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়, ইতালিতে ফেরার মধ্যে দিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সম্ভবত সেসব নিয়ম ভেঙেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এদিকে জুভেন্টাসের পর্তুগিজ তারকার ভাষ্য, অভিযোগটা সত্য নয়।

পর্তুগালের হয়ে খেলতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন রোনালদো। প্রথমে জানা গিয়েছিল পর্তুগালে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন তিনি। কিন্তু ইতালিতে এ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয় ১০ দিন। এ সময় ইতালিয়ান ঘরোয়া ফুটবলে জুভেন্টাসের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন না তিনি।

তবে ইতালিতে ফেরায় চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে মাঠে নামার একটু আশা টিকে আছে তাঁর। ২৮ অক্টোবর কাতালান ক্লাবটির মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস। পর্তুগালে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকলে এই আশাটুকুও থাকত না রোনালদোর।

আর মাঠে নামার ৭ দিন আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ার কাগজ পাঠাতে হয় উয়েফার কাছে। এ কারণে দেশে আর না থেকে ব্যক্তিগত বিমানে ইতালিতে ফিরেছেন রোনালদো। তাঁর ক্লাব জুভেন্টাসও জানিয়েছে, স্বাস্থ্যগত ছাড়পত্র নিয়েই ইতালিতে ফিরেছেন পর্তুগিজ তারকার

পর্তুগালের হয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচের পর করোনা ধরা পড়ে রোনালদোর।
ছবি: রয়টার্স

এদিকে স্পাদাফোরার কথা ভিন্ন। রোনালদোর এমন কোনো ছাড়পত্র পেয়ে ইতালিতে ফেরার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। ‘রাই রেডিও’কে তিনি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকলে আমার মতে সে নিয়ম ভেঙেছে।’

তারা বলছে আমি ইতালির নিয়ম ভেঙেছি। কিন্তু এটা সর্বৈব মিথ্যা। আমি দলের সঙ্গে কথা বলেছি। সবকিছু নিয়ম মেনেই করা হয়েছে।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড

ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রোনালদো দুবার কোভিড–১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছেন। কিন্তু আইসোলেশন ভেঙে মাঠে ফিরতে তাঁকে আরও একবার নেগেটিভ হতে হবে।

ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগের পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এ তারকা। রোনালদোর দাবি, ‘আমি কোনো নিয়ম ভাঙিনি। তারা বলছে আমি ইতালির নিয়ম ভেঙেছি। কিন্তু এটা সর্বৈব মিথ্যা। আমি দলের সঙ্গে কথা বলেছি। এসব ঠিকঠাক মেনে চলার দায়িত্বটা আমাদেরই। সবকিছু নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। আদর্শগত কারণে সেই ইতালিয়ান লোকটির নাম আমি বলব না, তবে এসব মিথ্যা। সবরকম নিয়ম মেনেই চলছি।’

নিজের কোয়ারেন্টিন–জীবন নিয়ে ৩৫ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার যোগ করেন, ‘আমি এক ফ্লোরে আছি, আমার সন্তানেরা আরেকটিতে। আগামী ১০দিন এভাবেই চলবে। ওদের ছেড়ে থাকা কঠিন। কিন্তু নিয়ম তো মানতেই হবে।’

করোনার সময়ে কী কী করছেন, তা নিয়েও কথা বলেছেন রোনালদো। করোনা–পজিটিভ হওয়ার পর সূর্যের আলো গায়ে মেখে ভালোই সময় কাটাচ্ছেন তিনি, ‘সূর্য অনেক সাহায্য করে। লোকে তো বোঝে না, কিন্তু এটা সত্যিই দারুণ। আমি সুযোগ পেলেই সূর্যস্নান করি। ভিটামিন সি, ডি, ওমেগা ৩, সেলেনিয়াম নিচ্ছি, হালকা খেলাধুলা তো আছেই। লোকে হয়তো এটা খুব পছন্দ করে না, তবে হাঁটাও অনেক গুরুত্বপুর্ণ। আর রাতের ঘুম তো ওষধ। আলো নিভিয়ে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমাই। ভালো থাকতে এটা প্রয়োজনীয়।’