সভাপতি নির্বাচনে দেরি, কেউ যাচ্ছেন না বার্সেলোনায়?

রামোস কি থাকবেন রিয়ালে?ছবি: এএফপি

গ্রীষ্মকালীন দলবদলে যে মেম্ফিস ডিপাই আর এরিক গার্সিয়াকে চেয়েও কিনতে পারেনি বার্সেলোনা, এই শীতকালীন দলবদলের সময় কি সেটা হবে? লিভারপুল কি রক্ষণভাগের নতুন কোনো খেলোয়াড় কিনবে? ম্যানচেস্টার সিটি আগুয়েরো-জেসুসদের সঙ্গী হিসেবে আরেক স্ট্রাইকার কেনার কথা ভেবে দেখছে? রামোসের রিয়ালের সঙ্গে চুক্তিরই-বা কী অবস্থা? তিনি যদি রিয়ালে না থাকেন, তাহলে কোথায় যেতে পারেন?

এমন আরও হাজারো দলবদলের গুঞ্জনে মুখর ফুটবলপাড়া। এ রকম অনেক প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিত হয়ে যাবে আর কিছুদিনের মধ্যেই। ইউরোপীয় ফুটবলে শীতকালীন দলবদল চলছে এখন। মাসজুড়ে ক্লাবগুলো পছন্দের খেলোয়াড় কিনে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে চাইবে, অপ্রয়োজনীয় খেলোয়াড় ছেড়ে দিয়ে খরচ কমাতে চাইবে।

ইউরোপের প্রধান লিগগুলোর দলবদল চলবে একদম চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত।
সম্ভাব্য দলবদলের জন্য বাতাসে ভাসছে অনেক খেলোয়াড় ও তাঁদের প্রতি আগ্রহী ক্লাবগুলোর নাম। সাম্প্রতিক গুঞ্জনগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক!

লিওঁর জার্সিতে গোলের পর গোল করে বার্সেলোনার ক্ষুধা বাড়াচ্ছেন ডিপাই।
ছবি: এএফপি

বার্সেলোনায় আদৌ কেউ আসছেন?

জানা গেছে, সভাপতি নির্বাচনের জন্য আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বার্সেলোনাকে। যে নির্বাচন ২৪ জানুয়ারি হওয়ার কথা ছিল, করোনার কারণে সেই তারিখ পিছিয়ে ৭ মার্চে ঠেকেছে। নতুন সভাপতি না এলে নতুন খেলোয়াড় আনার ব্যাপারে চিন্তাও করতে পারবে না বার্সেলোনা। তাই গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলে যে মেম্ফিস ডিপাই কিংবা এরিক গার্সিয়ার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিল বার্সা, এবারও তাঁদের দলে আসার সম্ভাবনা নেই। লিওঁর সঙ্গে ডিপাই ও ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার গার্সিয়ার চুক্তি জুনে শেষ হবে। অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, একদম চুক্তিহীন হয়েই আগামী জুনে বার্সার জার্সি গায়ে চাপাবেন হয়তো গার্সিয়া ও ডিপাই।

ইংলিশ ডিফেন্ডারের প্রতি মিলানের আগ্রহ

চেলসির ইংলিশ ডিফেন্ডার ফিকায়ো তোমোরিকে ধারে আনতে চাইছেন এসি মিলানের কোচ স্তেফানো পিওলি। ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড চেলসির দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরুর দিকে মূল একাদশে সুযোগ পেলেও এখন কুর্ত জুমা, থিয়াগো সিলভা, আন্তোনিও রুডিগারের জন্য বেঞ্চেই বসে থাকতে হয় রাইটব্যাক ও সেন্টারব্যাক দুই ভূমিকাতেই পারদর্শী তোমোরিকে। আর সে সুযোগই নিতে চাইছে মিলান। আপাতত ধারে তোমোরিকে আনতে চাইলেও মিলান চাইছে ধারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারা যেন ২ কোটি ৬৭ লাখ পাউন্ড দিয়ে তোমোরিকে কিনে ফেলতে পারে, সে ব্যবস্থা করে রাখতে।

টটেনহামের জার্সিতে ইদানিং দেখাই যায় না আলিকে।
ছবি: এএফপি

জুভেন্টাসের স্ট্রাইকার-খোঁজ

গ্রীষ্মকালীন দলবদলে আলভারো মোরাতাকে দলে এনেছে, এখন আরেকজন স্ট্রাইকারের খোঁজে মাঠে নেমেছে জুভেন্টাস। পছন্দের তালিকায় আছে চেলসির ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরু, নাপোলির আরকাদিউশ মিলিক ও জেনোয়ার জিয়ানলুকা স্কামাকার নাম।

সাবেক গুরুর পথে হাঁটবেন আলি?

বহুদিন ধরেই টটেনহামের কোচ জোসে মরিনিওর পরিকল্পনায় নেই ইংলিশ মিডফিল্ডার দেলে আলি। মরিনিওর আচরণেও এই ব্যাপার পরিষ্কার, আলি চাইলে ক্লাব ছাড়তে পারেন, মরিনিও তাতে বাধা দেবেন না। এদিকে টটেনহামের সাবেক কোচ, আলির সাবেক গুরু মরিসিও পচেত্তিনো পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে আলির সামনে সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে পিএসজিকে সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে ভেবে দেখার। এদিক মরিনিও আবারও স্বীকার করেছেন, ক্লাবে নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ঠিক সুখে নেই আলি।

বার্সার গোলরক্ষক আনছে আর্সেনাল?

গত দলবদলের সময়েই আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক রুনার রুনারসনকে দলে এনেছিল আর্সেনাল। লক্ষ্য ছিল, মূল গোলরক্ষকের বিকল্প হিসেবে তাঁকে ব্যবহার করা হবে। জানা গেছে, নতুন এই গোলরক্ষকের ওপর আর্সেনাল কোচ মিকেল আরতেতার মন উঠে গেছে। মূল গোলরক্ষক বার্নড লেনোকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলার জন্য এবার বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক নেতোকে দলে চাইছেন আরতেতা। ওদিকে মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের দুর্দান্ত ফর্মের কারণে নেতো নিজেও বার্সায় তেমন সুযোগ পান না। দেখা যাক, এই দলবদল হয় কি না!

এ তো গেল গুঞ্জনের খবর। কিন্তু এ পর্যন্ত কোন কোন খেলোয়াড় দল পরিবর্তন করলেন? লম্বা তালিকাটা একনজরে দেখে নেওয়া যাক—

সম্পাদিত ধার চুক্তি
সোয়ালিহো মেইতে (তুরিনো থেকে এসি মিলান, ধার)
কেভিন স্ট্রুটমান (মার্শেই থেকে জেনোয়া, ধার)
লুকা ইয়োভিচ (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট, ধার)
মুসা দেম্বেলে (অলিম্পিক লিওঁ থেকে আতলেতিকো মাদ্রিদ, ধার)
তাকেফুসা কুবো (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে হেতাফে, ধার)
কার্লেস আলেনিয়া (বার্সেলোনা থেকে হেতাফে, ধার)
উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল থেকে নিস, ধার)
রাজ্জা নাইনগোলান (ইন্টার মিলান থেকে ক্যালিয়ারি, ধার)

সম্পাদিত পূর্ণাঙ্গ চুক্তি
সেবাস্তিয়েন হলার (ওয়েস্ট হাম থেকে আয়াক্স, ২০ মিলিয়ন পাউন্ড)
ওমর রেকিক (হার্থা বার্লিন থেকে আর্সেনাল, ০.৫ মিলিয়ন পাউন্ড)
আমাদ দিয়ালো (আতালান্তা থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ১৮.৭ মিলিয়ন পাউন্ড)
জোয়াকিম মায়েলে (গেঙ্ক থেকে আতালান্তা, ৯ মিলিয়ন পাউন্ড)
ডমিনিক জবোস্লাই (সালজবুর্গ থেকে লাইপজিগ, ২২.৯ মিলিয়ন পাউন্ড)