সহজ জয়ে পরের রাউন্ডে লিভারপুল

মিনামিনো করেছেন জোড়া গোলছবি : রয়টার্স

মোহাম্মদ সালাহ ছিলেন না। আক্রমণভাগে ছিলেন না সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনো ও দিওগো জোতার মতো সালাহর নিয়মিত সঙ্গীরা। রক্ষণ ও মাঝমাঠে দেখা যায়নি ভার্জিল ফন ডাইক, ফাবিনিও, আলিসন বেকার, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড, অ্যান্ডি রবার্টসন, থিয়াগো আলকানতারা এমনকি অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসনকেও।

আর দশটা ইএফএল কাপের ম্যাচে যা হয়, এ ম্যাচেও সেটাই হয়েছে। দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই খেলতে নেমেছিল লিভারপুল। দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই নরউইচ সিটির বিপক্ষে অনায়াস জয় পেয়েছে তাঁরা। জাপানি উইঙ্গার তাকুমি মিনামিনোর জোড়া গোলের সঙ্গে বেলজিয়ান স্ট্রাইকার দিভক অরিগির গোল মিলিয়ে নরউইচকে ৩-০ গোলে হেসেখেলেই হারিয়েছে তাঁরা।

এক গোল করার পাশাপাশি এক গোলে সহায়তাও করেছেন অরিগি
ছবি : রয়টার্স

শুরু থেকেই আধিপত্য দেখানো শুরু করে লিভারপুল। সালাহ-মানেদের অনুপস্থিতিতে বেশ কিছু আনকোরা খেলোয়াড় নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পান এ ম্যাচে। যেমন রাইটব্যাকে খেলেছেন কনর ব্র্যাডলি, রাইট উইঙ্গার হিসেবে সালাহর জায়গায় দেখা গেছে ১৭ বছর বয়সী কাইদে গর্ডনকে।

চার মিনিটেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। কর্নার থেকে আসা বল হেড করে নামিয়ে মিনামিনোর পায়ে তুলে দেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার অরিগি। সেভাবে মিনামিনোকে মার্ক করেননি নরউইচের কেউই। নরউইচের গোলকিপার অ্যাঙ্গাস গানের দুপায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়ান এই জাপানি তারকা।

ম্যাচে সমতা আনার সুযোগ পেয়েছিল নরউইচ। তবে সে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি দলটা। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি পেলেও দলে নতুন আসা গ্রিক ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ান জোলিস পেনাল্টি মিস করেন, লিভারপুলের তরুণ গোলকিপার খুইভিন কেলেহার ঠেকিয়ে দেন সে পেনাল্টি।

পরে ম্যাচের লাগাম আরও নিজেদের দিকে টেনে নেয় লিভারপুল। ৫০ মিনিটে গ্রিক লেফটব্যাক কসতাস সিমিকাসের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন অরিগি।

৮০ মিনিটে আবারও দৃশ্যপটে মিনামিনোর আগমন। তবে এবার সহায়তাকারীর ভূমিকায় ছিলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার অ্যালেক্স-অক্সলেড চেম্বারলিন। এই তিন গোল মিলিয়েই লিভারপুল অনায়াসের উঠে যায় ইএফএল কাপের পরের রাউন্ডে।