সাইফ স্পোর্টিংকে রুখে দিল রহমতগঞ্জ

ম্যাচটি শেষ হয়েছে সমতায়।ছবি : প্রথম আলো

রাতটা নিশ্চয় নির্ঘুম কাটবে লরোনিও রেমির! ফেডারেশন কাপের রানার্সআপ সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে এভাবে মুঠোর মধ্যে পেয়েও রহমতগঞ্জ শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তো রেমির কারণেই। প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ রহমতগঞ্জের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল সাইফ স্পোর্টিং। ম্যাচে ১-১ গোলে সমতা থাকা অবস্থায় পেনাল্টি পায় রহমতগঞ্জ। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোলই করতে পারলেন না রেমি। গোল করে নায়ক হতে পারতেন রেমি, উল্টো খলনায়ক হয়ে ম্যাচ শেষ করলেন।

অবশ্য এক পয়েন্টের জন্য খেলতে নামা রহমতগঞ্জ ম্যাচ শেষে আত্মতুষ্টিতে ভুগতেই পারে। কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার হয়েছে সাইফ স্পোর্টিংয়ের। লিগটা শুরুই করতে হলো পয়েন্ট খুইয়ে।

ফেডারেশন কাপে গতিময় ফুটবল উপহার দিয়ে প্রথমবারের মতো মৌসুমসূচক টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে সাইফ স্পোর্টিং। সাইফের তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে গতিতে পাল্লা দিয়েই আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলেছে রহমতগঞ্জ। অথচ ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচই হেরেছিল তারা। একটা গোলও করতে পারেনি। আজই প্রথম গোলের দেখা পেয়েছে। ফেডারেশন কাপে মাত্র এক বিদেশি নিয়ে খেলা রহমতগঞ্জ আজ খেলিয়েছে চার বিদেশিকে। দুই উইং দিয়ে বারবার আক্রমণে উঠেছে রহমতগঞ্জ।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে গোল করে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার আভাসই দিচ্ছিল সাইফ স্পোর্টিং। বাম প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে দুর্দান্ত ভলিতে সাইফকে এগিয়ে নেন তাদের নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার জন ওকোলি। গোল শোধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রহমতগঞ্জ। ৪০ মিনিটেই গোল শোধের সুযোগটা পেয়ে গেছে। বক্সের মধ্যে জটলা থেকে দুর্দান্ত শট করে ম্যাচে সমতায় ফেরান রেমি।

দারুণ খেলেছে রহমতগঞ্জ।
ছবি: প্রথম আলো

দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক খেলেছে রহমতগঞ্জ। রেমির পেনাল্টি আদায় সেই আক্রমণেরই ফসল। বক্সের মধ্যে ভয়ংকর গতিতে ঢুকে যাওয়া রেমিকে ফেলে দেন সাইফ অধিনায়ক রিয়াদুল হাসান। রেফারি আনিসুর রহমান সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেন রেমি। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ দক্ষতায় বলটা ঠেকিয়ে দেন সাইফের গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন। ফিরতি বল থেকে সামনে দাঁড়ানো রহমতগঞ্জের ফরোয়ার্ড সাজিদুর রহমানও গোলটা করতে পারলেন না! সে–যাত্রায়ও কর্নারের বিনিময়ে গোল বাঁচিয়ে দিলেন গোলরক্ষক পাপ্পু।

গোল পেতে মরিয়া সাইফ এরপর একাধিকবার আক্রমণে উঠেছে। ৬১ মিনিটে তো ওকোলির পাস থেকে বল পেয়েও সাহেদুল বল পাঠালেন বারের ওপর দিয়ে। পুরো ম্যাচে ফেডারেশন কাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা কেনেথও চেষ্টা করেছেন। বেশ কয়েকবার গোলের জন্য শট নিয়েছেন, কিন্তু একবারও জালে পাঠাতে পারেননি। ম্যাচের শেষ সময়ে এসে আবারও সাইফের জন ওকোলি দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর শটটি হাঁটু দিয়ে ঠেকিয়ে দেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাইফের বেলজিয়ান কোচ পল পুটকে।

আগামীকাল লিগের পরের ম্যাচে মোহামেডানের মুখোমুখি হবে আরামবাগ।