সালাহদের এগিয়ে রাখলেন মানেরই সতীর্থ

প্রথম লেগ জয়ের আনন্দ সালাহদেরছবি : রয়টার্স

লড়াইটা দুই লেগের, তাই 'প্রতিশোধ' শব্দের ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এক লেগের লড়াই হলে নিঃসন্দেহে যে শব্দের প্রয়োগ ঘটানো যেত। তবে প্রতিশোধ না হোক, আপাতত ক্ষণিকের স্বস্তি অবশ্যই পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ।

সর্বশেষ আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সের ফাইনালে মুখোমুখি হয় মোহাম্মদ সালাহর মিসর ও সাদিও মানের সেনেগাল। টাইব্রেকারে সেনেগালের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় মিসরের। কিন্তু গত রাতে মিসরের কায়রোয় অনুষ্ঠিত হওয়া আফ্রিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব প্লে-অফের প্রথম লেগের লড়াইয়ে মানের চেয়ে এগিয়ে থাকলেন সালাহই। প্রথম লেগে মিসর জিতেছে ১-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে যে অগ্রগামিতা বজায় রাখতে পারলে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাবেন সালাহরা। আর সেটা হলে, নিশ্চিতভাবেই 'প্রতিশোধ' শব্দটারও ব্যবহার করা যাবে!

তবে প্রথম লেগে সালাহদের এই ক্ষণিক স্বস্তিটুকু এনে দিয়েছেন মানেরই সতীর্থ। ম্যাচের ভাগ্যনির্ধারণী গোলটা মিসরের কেউ করেননি, বরং এসেছে সেনেগালের লেফটব্যাক সালিউ সিসের কাছ থেকে। ২০০৬ সালের পর সেনেগালের বিপক্ষে এই প্রথম গোল করতে পারল মিসর, আর সেটা এল মানেরই সতীর্থের কাছ থেকে!

তবে এই গোলের পেছনেও ভূমিকা আছে সালাহর। আমর এল সুলাইয়ার রক্ষণচেরা লবটা নিয়ন্ত্রণ করে গোল বরাবর শট নিয়েছিলেন সালাহই, কিন্তু সেটা লাগে গোলপোস্টে। পোস্ট থেকে ফিরে এসে সালিউ সিসের হাঁটুতে লেগে বল জালে জড়ায়। ম্যাচের চার মিনিটেই এগিয়ে যায় মিসর।

গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন মানেও
ছবি : রয়টার্স

তবে মিসর এগিয়ে গেলেও, দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলেছে সেনেগালই। বলের দখল রেখেছে ৫৬ শতাংশ সময়ে, যদিও শটের দিক দিয়ে সমানে-সমান টেক্কা দিয়েছে দুই দল (সেনেগাল দশটা, মিসর নয়টা)। এমনিতেই সালাহর মিসর রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার জন্য পরিচিত, এ ম্যাচেও দেখা গিয়েছে সেটা।

দ্বিতীয় লেগে আগামী সপ্তাহে সেনেগালের রাজধানী ডাকারে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেই ম্যাচে জিতলে বা ড্র করলে, বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যাবেন সালাহরা। আফ্রিকান অঞ্চলে এখনও 'অ্যাওয়ে গোল'-এর নিয়ম চালু আছে। ফলে আগামী ম্যাচে সেনেগাল যদি ২-১ বা ৩-২ ব্যবধানে জিতেও যায়, বিশ্বকাপে চলে যাবেন সালাহরা।

সে পর্যন্ত 'প্রতিশোধ' শব্দটা না হয় তোলাই থাক!