সালাহ–ফন ডাইকদের তাতাতে বিরতিতে ক্লপ যা বলেছিলেন

ডাগআউটে লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপছবি: রয়টার্স

হঠাৎ করেই পাশার দান উল্টে গেল। ৬২ থেকে ৭৪—১২ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে প্রত্যাবর্তনের অসাধারণ এক গল্প লিখল লিভারপুল। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া লিভারপুল ৩-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে উঠে গেল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। প্রথম লেগে ২-০ গোলে জেতা ইয়ুর্গেন ক্লপের দল দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলের অগ্রগামিতায় নিশ্চিত করেছে ফাইনাল।

নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধে অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়েছে ভিয়ারিয়াল। ২ গোলে পিছিয়ে পড়া লিভারপুল অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল। এমন অবস্থায় প্রতিপক্ষের মাঠে লিভারপুল কোচ ক্লপ কীভাবে উজ্জীবিত করলেন মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানে আর ভার্জিল ফন ডাইকদের। ম্যাচের বিরতিতে তাঁর কিছু কথাই দলের মধ্য সঞ্জীবনীর সঞ্চার করেছে, ম্যাচ শেষে এমনটাই বললেন লিভারপুলের ডিফেন্ডার ফন ডাইক ও ফরোয়ার্ড সালাহ।

গোলের পর লিভারপুল খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস
ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে লিভারপুলের ড্রেসিংরুমে ছোট্ট একটা মিটিং হয়েছে। সালাহ-মানেরা ড্রেসিংরুমে ফেরার পরই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ক্লপ। এরপর তিনি সবার উদ্দেশে কথা বলেন। কী বলেছিলেন, তা শোনা যাক ফন ডাইকের কণ্ঠে, ‘তিনি আমাদের বলেছিলেন, “ফুটবলটা খেলো, আর সেটা লিভারপুলের মতোই খেল।”’

ফুটবল খেলা আর সেটা লিভারপুলের মতো করে খেলা—এটা দিয়ে শিষ্যদের কী বোঝাতে চেয়েছিলেন ক্লপ? ফন ডাইক এটারও ব্যাখ্যা দিলেন, ‘তিনি আসলে আমাদের সেভাবেই খেলতে বলেছেন, যেভাবে আমরা পুরো মৌসুমে খেলেছি। বলের দখল রাখতে বলেছেন। বক্সে বল আরও বেশি এদিক-ওদিক করার পরামর্শ দিয়েছেন। আর সবাইকে এ মনোভাবও দেখাতে বলেছেন যে আমরা ফাইনালে যেতে কতটা উন্মুখ।’

লিভারপুলের প্রথম গোলের পর ফাবিনিওর উদ্‌যাপন
ছবি: রয়টার্স

ফন ডাইকের মতো সালাহও ম্যাচ শেষে একই কথা বলেছেন। আর দলের মানসিক দৃঢ়তার প্রশংসা করেছেন লিভারপুলের মিসরীয় ফরোয়ার্ড, ‘প্রথমার্ধে আমাদের খুব কঠিন সময় কেটেছে। কিন্তু আমরা ড্রেসিংরুমে গেলাম এবং তিনি কথা বলতে শুরু করেন। আমরাও একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছি। ড্রেসিংরুমের দৃঢ়তা বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা শীর্ষ দল।’

ম্যাচ শেষে ক্লপও ড্রেসিংরুমের ছোট্ট সেই মিটিংয়ের কথা বললেন, ‘প্রথমার্ধে তারা আমাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে। বিরতিতে আমি কী বলেছিলাম, তা এই মুহূর্তে আর সেভাবে মনে নেই। আমরা এটাই আলোচনা করেছিলাম যে কীভাবে ফুটবলটা খেলতে পারি আমরা। বল বেশি এদিক-ওদিক করে ফাঁকা জায়গা বের করতে হবে।’