সাড়ে চার বছরে এমন দিন দেখেননি রোনালদোরা

জুভেন্টাস ইন্টারের কাছে হারল চার বছর পর।ছবি: রয়টার্স

রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে আসার পর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এই ঘটনা দেখেননি। দেখবেন কীভাবে? সাড়ে চার বছরে এমন ঘটনা যে ঘটেইনি!

২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরের পর জুভেন্টাসের বিপক্ষে আর জয় পাওয়া হয়নি ইন্টার মিলানের। এবার সেই অপেক্ষা ঘুচেছে। নিজেদের মাঠে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নদের ২-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মিলান। গোল করেছেন দুই মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদাল ও নিকোলো বারেল্লা। কাল এই জয়ে ১০ বছর পর নিজেদের লিগ জয়ের স্বপ্নটা আরেকটু পরিষ্কার দেখতে পারছে আন্তোনিও কন্তের দল।

অথচ এই আন্তোনিও কন্তের হাত ধরেই গত দশকে ইতালীয় ফুটবলের অবিসংবাদিত রাজার আসনে বসেছিল জুভেন্টাস। সময়ের ফেরে সেই কন্তের হাতেই এখন দায়িত্ব জুভেন্টাসকে সিংহাসনচ্যুত করার, যে রাজত্ব কয়েক বছর আগে নিজেই গড়েছিলেন, সে রাজত্ব ধ্বংস করে দেওয়ার। সে লক্ষ্যে যে তিনি ইন্টারকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই পথে আছেন, সেটাই যেন বোঝা গেল গতকাল। আর তাতেই রাতটা হতাশায় কেটেছে রোনালদোদের।

২০১০ সালের পর এবারই সিরি ‘আ’ জয়ের সম্ভাবনা বড় হচ্ছে ইন্টারের।
ছবি: রয়টার্স

শুধু কন্তেই নন, জুভেন্টাসকে লিগের চূড়া থেকে নামানোর কাজে লেগেছেন জুভেন্টাসেরই আরেক সাবেক তারকা মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদাল। কন্তের অধীনে জুভ মিডফিল্ডের অন্যতম বড় এই ভরসা এখন ইন্টারের মিডফিল্ড সামলান। নিকোলো বারেল্লার ক্রসে ম্যাচের ১২ মিনিটে গোল করে সাবেক ক্লাবের বুকে সবার আগে তিনিই ছুরি চালিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটে তরুণ ইতালিয়ান সেন্টারব্যাক আলেসসান্দ্রো বাস্তোনির দুর্দান্ত এক থ্রু বল ধরে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়েছেন বারেল্লাই। এই দুই গোলেই জুভেন্টাসের বিপক্ষে টানা ৭ ম্যাচ জয়হীন থাকার পর জয় পেয়েছে ইন্টার।

এভাবে হেরে মোটেও খুশি নন জুভেন্টাসের কোচ আন্দ্রেয়া পিরলো। নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিতেই সমস্যা দেখছেন সাবেক কিংবদন্তি এই মিডফিল্ডার, ‘খুবই বাজে একটা হার ছিল এটা। এর থেকে বাজে খেলা যায় না। শুরু থেকেই ম্যাচ জেতার জন্য আমাদের তেমন কোনো আগ্রহ ছিল বলে মনে হয় না। প্রথম থেকেই ইন্টারকে ভয় পেয়েছি আমরা। রক্ষণে মনোযোগ দিয়েছি শুধু, আক্রমণের কথা সেভাবে ভাবিইনি।’

এই জয় নিয়ে শীর্ষে থাকা এসি মিলানের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান একদম নাই করে ফেলল ইন্টার; যদিও এসি মিলান একটা ম্যাচ কম খেলেছে। হাতে থাকা ম্যাচ থেকে ন্যূনতম ১ পয়েন্ট পেলেও এককভাবে শীর্ষেই থাকবে এসি মিলান। দলের এমন মানসিকতা দেখে মুগ্ধ কন্তে, ‘জুভেন্টাসের মতো দলকে হারাতে হলে আপনাকে নিখুঁত একটা ম্যাচ খেলতে হবে। আমি ছেলেদের জন্য খুশি, কারণ তারা পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। এমন জয় পেলে ওদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। বোঝা যায় যে আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি।’