সুজনকে বাঁচাতে লাগবে ২২ লাখ টাকা

বাঁচার আকুতি জানালেন প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার সুজনছবি: প্রথম আলো

প্রাণের স্পন্দন থেকেও যেন প্রাণহীন শাজাহান আহমেদ সুজন। দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার এখন লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে।

তাঁর চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে পরিবারের বাকি সদস্যদের তিন বেলা খাবার জোটানোও কঠিন হয়ে উঠছে। জীবন-সংগ্রামে হেরে যেতে বসা ২৮ বছরের সুজন আর সবার মতোই বাঁচতে চান। চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরতে চান সাধারণ জীবনে।

চিকিৎসা করাতে মোটা অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু সেই সামর্থ্য নেই সুজনের। উপায়ান্তর না দেখে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তার আরজি জানিয়েছেন তিনি।

তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

২০১৭ সালে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিতে খেলেছেন সুজন। সে বছর অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের কাছে জানতে পারেন, নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর দুটি কিডনিই।

সে বছরই চিকিৎসা করাতে ভারতের চেন্নাইয়ে যান সুজন। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, প্রতিস্থাপন করতে হবে কিডনি। এর জন্য প্রয়োজন বাংলাদেশি টাকায় ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা। এখন প্রতি সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস ও ওষুধের খরচের পেছনে সুজনের সাপ্তাহিক ব্যয় প্রায় তিন হাজার টাকা।

সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করাতে হয় সুজনকে
ছবি: প্রথম আলো

সুজনের বাবা জিন্নাত আলীর চায়ের দোকান রয়েছে ঢাকার লালবাগে। চার ভাই-বোনের সংসারে সুজন মেজ (তিন ভাইয়ের মধ্যে)। বড় ভাই চান মিয়া পোশাক কারখানায় সাপ্লাইয়ের কাজ করতেন। করোনার কারণে তাঁর সে চাকরিও নেই।

নিজে ছাড়াও পরিবারের অন্য সদস্যের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছেন সুজন ও তাঁর পরিবার।

সুজন আজ এসেছিলেন প্রিয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। মাঝে পেসবক্সে এসে বাঁচার আকুতি জানিয়ে গিয়েছেন সুজন, ‘আমার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।এত দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্য নিয়ে ডায়ালাইসিস করছিলাম। কিন্তু এখন সবাই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবানদের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন আমার পাশে দাঁড়ান। আমি বাঁচতে চাই।’

কিডনি স্থাপন করতে ২০-২২ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘২০১৭ সালে চেন্নাইয়ে গিয়েছিলাম। তখন ডাক্তাররা বলে ছিলেন কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা লাগবে।’

এর আগে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান এক লাখ এবং আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তিন লাখ টাকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সুজন।

কিন্তু এরই মধ্যে চিকিৎসার পেছনে তাঁর ব্যয় হয়েছে প্রায় আট লাখ টাকা।